দিন দিন বেড়েই চলেছে হৃদরোগীর সংখ্যা। এ সমসাটির পেছনে সবচেয়ে বেশি দ্বায়ী হচ্ছে উচ্চ রক্তচাপ। বিশ্বে কোটি কোটি মানুষ এই সমস্যায় ভুগছেন।
আমাদের শরীরের প্রায় সবকিছুই নির্ভর করে খাবারের ওপরে। কারণ খাবারই আমাদের শরীরে শক্তি উৎপাদন করে এবং সেই শক্তি আমাদের বিভিন্ন অঙ্গের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করতে সহায়তা করে।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ বিভিন্ন ফল যেমন— জাম্বুরা, কমলা এবং লেবু ইত্যাদি ফলগুলো উচ্চ রক্তচাপ কমাতে শক্তিশালী হিসেবে কাজ করতে পারে। এগুলো ভিটামিন, খনিজ এবং উদ্ভিদের যৌগ দ্বারা পরিপূর্ণ যা উচ্চ রক্তচাপের কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে এবং আপনার হার্টকে সুস্থ রাখে।
কুমড়ো বীজ
কুমড়ো বীজ দেখতে অনেক ছোট মনে হলেও পুষ্টিগুণে অনেক পরিপূর্ণ। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির একটি ঘনীভূত উৎস যেমন— ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং আর্জিনিন থাকে। এছাড়া এতে নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় একটি অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে।
চর্বিযুক্ত মাছ
চর্বিযুক্ত মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের অনেক ভালো উৎস হতে পারে। এটি হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এই চর্বিগুলো উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা কমানো ছাড়াও প্রদাহ কমাতে এবং অক্সিলিপিনস নামক রক্তবাহী যৌগের মাত্রা হ্রাস করে।
গাজর
গাজরে ক্লিনোজেনিক, পি-কুমারিক এবং ক্যাফিক অ্যাসিডের মতো ফেনোলিক যৌগ থাকে। আর এ যৌগগুলো রক্তনালীকে শিথিল করতে এবং প্রদাহ কমিয়ে উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। আর রক্তচাপ কমাতে গাজর কাঁচা অবস্থাতেই খাওয়া আরও উপকারী।
পালং শাক
পালং শাকে নাইট্রেট বেশি থাকে।এ ছাড়া এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকায় তা উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা কমাতে পারে। এ ছাড়া পালং শাক ধমনীর শক্ততা হ্রাস করতে এবং হৃদযন্ত্রের উন্নতিতে সাহায্য করতে পারে।
সূত্র: হেলথলাইন ডটকম