ফ্যাশান আইকন হলেন সারা আলি খান। সইফ আলি খান ও অমৃতা সিং এর কন্যা। পতৌদি বাড়ির বড় মেয়ে। ২০০৪ সালে সইফ-অমৃতার বিয়ে ভেঙে যাওয়ার সময় সারার বয়স ছিল ৯ বছর। তার পর তিনি তাঁর ভাই ইব্রাহিমের সঙ্গে বড় হন অমৃতার কাছেই। মা বাবা আলাদা হলেও ইব্রাহিম আর সারা বাবাকেও কম ভালোবাসেন না। গত রবিবার মা অমৃতা সিং ও ভাই ইব্রাহিম আলি খানের সঙ্গে মুম্বইয়ে কোনো রেস্তোরাঁতে সময় কাটাচ্ছিলেন। আর এই সময় তিনি রাস্তায় পাপারিজ্জদের হাতে ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন সারা আলি খান।
সারা নিজের অভিনয়ের জন্য পাকাপাকি বলিউডে জায়গা করে নিয়েছেন৷ অভিনয়ের পাশাপাশি বরাবরই নিজের মিষ্টি আর নম্র ব্যবহার দিয়ে মন জয় করে নিয়েছেন নিজের অনুরাগীদের। এমনকি পাপারাৎজিদের সঙ্গেও তাঁর সৌজন্যমূলক ব্যবহারের জন্য বেশ খ্যাত৷ রবিবার সাদা ক্রপ শার্ট আর ডেনিম শর্টসে ক্যামেরাবন্দি হন সারা। আর এই দিন ইব্রাহিম পরেছিলেন লাল জগার্সের সঙ্গে কালো স্যান্ডো। এদিন দুই ভাই-বোনের সঙ্গে ছিলেন প্রিয় মা অমৃতাও। তবে এই দিন তিনজন পাপারিজ্জদের পোজ দিলেও সবচেয়ে বেশি যা নজর কেড়েছে তা হল সারার ব্যবহার। এদিন নিজের গাড়িতে ওঠার আগে এক গরীব মহিলা সারার কাছে সাহায্য চান। অন্যান সেলিব্রেটিদের মতো মুখ না ফিরিয়ে নিয়ে ব্যাগ থেলে বিস্কুটের প্যাকেট বের করে দিলেন সারা আলি খান।
এখানেই শেষ নয়, তারপর তাঁর হাতে গুঁজে দিলেন কিছু টাকাও। এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই অনেকেই প্রশংসা করেছেন সারার এই ব্যবহারের। যেভাবে তিনি হাসিমুখে সাহায্য করলেন তা সত্যি সত্যি প্রশংসনীয়। তবে এর মাঝে কমেন্টে আরিয়ান প্রসঙ্গ উঠে এল। উল্লেখ্য, মাদক-কাণ্ডে আরিয়ান গ্রেফতার হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। যেখানে দেখা গিয়েছিল রেস্তোরাঁ থেকে বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করে৷ বাড়ি ফেরার পথে বেরিয়ে গাড়িতে উঠছেন আরিয়ান। আর সাহায্য চাইতে আসা এক পথশিশুকে তাড়িয়ে দেন আর সেই শিশুর মুখের ওপর গাড়ির দরজা বন্ধ করে দিচ্ছেন। আর তা দেখেও অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। তাই অনেকের মতে আরিয়ানের থেকে ঢের ভালো সারা।
View this post on Instagram