40 C
Kolkata
Saturday, April 20, 2024

Idol: প্রতিমা বিসর্জনে মানুষের ঢল, কক্সবাজার সৈকতে

Must Read

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার শেষ দিন বিজয়া দশমীতে সৈকতের লাবণি পয়েন্টে দেবী দুর্গাকে বিসর্জন দেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। গেল বছর করোনা মহামারির থাবায় এই উৎসব উল্লেখযোগ্যভাবে পালন করতে পারেনি এই সম্প্রদায়ের মানুষ। যে কারণে এ বছর ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালন করেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশাপাশি দেবী দুর্গা বিসর্জনে দেখা গেছে দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ সব সম্প্রদায়ের মানুষকে।

প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানকে ঘিরে সৈকতের লাবণি পয়েন্টে শুক্রবার দুপুর ২টার পর থেকে জেলার উখিয়া, টেকনাফ, সদর, ঈদগাহ, চৌফলদন্ডী ছাড়াও নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে শোভাযাত্রা সহকারে প্রতিমা আসতে শুরু করে। প্রতিমায় ভরে যায় সমুদ্রসৈকতের অনুষ্ঠানস্থল। লাবণি পয়েন্টে বিকাল ৩টা থেকে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ।

আরও পড়ুন -  Bangladesh: সতর্ক ব্রাত্য বসু, বাংলাদেশ ইস্যুতে

বিকাল প্রায় ৫টা পর্যন্ত সৈকতের বালুচরে রাখা দুর্গা প্রতিমা ঘিরে চলে ভক্তদের শেষ আরাধনা। শুধু তাই নয়, নাচে-গানে এক অন্যরকম আনন্দমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয় বিশ্বের দীর্ঘতম এ সৈকতে। অনুষ্ঠানকে ঘিরে সমাগম ঘটে পর্যটকসহ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লাখো মানুষের। আয়োজকরা জানান, শুধু সৈকতের লাবণি পয়েন্টে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা শতাধিক প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে। একই সময়ে কক্সবাজারের রামুর বাঁকখাল নদী, চকরিয়ার মাতামুহুরী, টেকনাফের সাগর ও নাফনদী, উখিয়ার ইনানী সৈকত এবং রেজুনদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। রামু ও চকরিয়ায় পৃথক প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কক্সবাজার সদর উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক বলরাম দাশ অনুপম বলেন, মা দুর্গার কাছে আমাদের বিশেষ প্রার্থনা ছিল প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে মানুষ যেন রক্ষা পায়। মা আমাদের প্রার্থনা শুনেছেন। যে কারণে আবহাওয়া অনুকূলেই রয়েছে।

আরও পড়ুন -  তলিয়ে গেল ৩ নাবালিকা, গঙ্গা নদীতে স্নান করতে গিয়ে

বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সৈকতের লাবণি পয়েন্টের উন্মুক্ত মঞ্চে শুরু হয় বিসর্জনের আনুষ্ঠানিকতা। কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রণজিৎ দাশের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ, পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক।

হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সব ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণে ঈদ, পূজা, প্রবারণা ও বড়দিন পালিত হয়। বিজয়া দশমীর এ মহামিলন মেলার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা জানান, এ বছর জেলায় ৩০২টি মণ্ডপে পূজা উদযাপন হয়েছে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে কক্সবাজার সৈকতে। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রণজিৎ দাশ জানান, দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান এটি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছরও এখানে দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ লাখো মানুষের সমাগম হয়েছে। গত বছর করোনা মহামারির কারণে এই উৎসবটি ব্যাপকভাবে পালন করা সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুন -  রাজ্যে মাওবাদী পোস্টার, রাজনৈতিক শ্লেষের পাশাপাশি হাত কেটে নেওয়ার হুমকি

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, তিন স্তরে নিরাপত্তা জোরদারের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব শেষ হয়েছে। শুধু সৈকত এলাকায় প্রায় কয়েকশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়।  সূত্রঃ যুগান্তর

Latest News

Monami Ghosh: ট্যাঙ্ক টপ-শর্টসে আইসক্রিম খেতে ব্যস্ত মনামী গরম থেকে রেহাই পেতে, দেখা মাত্র গলে জল নেটিভক্তরা

Monami Ghosh: ট্যাঙ্ক টপ-শর্টসে আইসক্রিম খেতে ব্যস্ত মনামী গরম থেকে রেহাই পেতে, দেখা মাত্র গলে জল নেটিভক্তরা।  মনামী ঘোষ (Monami...
- Advertisement -spot_img

More Articles Like This

- Advertisement -spot_img