Drug Case: জেলের কোনো খাবার খাচ্ছেনা আরিয়ান !

Published By: Khabar India Online | Published On:

 বর্তমানে আর্থার রোড জেল হল বাদশার পুত্র’র ১৪ দিনের ঠিকানা। কোভিড টেস্ট করিয়ে সেই জেলে পাঠানো হয়েছে। আরিয়ান-সহ এই মামলায় যুক্ত বাকি অপরাধীদের গ্রেফতার সকলের কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। প্রত্যেকের করোনা টিকার দুটি ডোজই নেওয়া রয়েছে বলে এনসিবি সূত্রে খবর। করোনা নিয়মবিধি মেনে সেখানে পাঁচ দিন নিভৃতবাসে কাটাতে হচ্ছে আরিয়ানকে। গত বৃহস্পতিবার ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে আরিয়ানকে।

 তিনি বলিউডের বাদশার পুত্র বলে কোনও রকম ‘বিশেষ আয়োজন’ করা হয়নি তাঁর জন্য। আর পাঁচ জন হাজতবাসীর মতোই থাকছেন ‘কিং খান’-এর বড় ছেলে। কোন রুটিন মেনে আগামী কয়েক দিন চলবেন বাদশা-পুত্র? এতদিন রাজপুত্র আরিয়ানের এক ইশারাতেই লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতো অগুণতি পরিচারক। মন্নতের রাজকুমারের জন্য আয়োজন করা হত নানান খাবার।

আরও পড়ুন -  Gold Price Today: আজকে মুখ থুবড়ে পড়ল সোনার দাম, কলকাতার বাজারদর জানুন

 তবে এই কারারুদ্ধে থাকছেনা পাঁচ তারা হোটেলের কাবাব বিরিয়ানি। অন্যান কয়দীদের মতো প্রতিদিন ঘড়ির সময় অনুযায়ী ঠিক সকাল ৬টায় ঘুম থেকে উঠিয়ে দেওয়া হয় প্রত্যেক অভিযুক্তকে। এরপর সকাল সাতটায় আসে জলখাবার। প্রতিদিন জেলে যা রান্না হবে তাই খেতে হবে সকল অপরাধীদের। বাইরের ভালো খাবার এক্কেবারে নিষিদ্ধ। আরিয়ান এখন আর্থার রোড জেলে একদম সাধারণ জীবনযাপন করছে। এই মামলায় গ্রেফতার আরও পাঁচ জনের সঙ্গে আরিয়ানকে রাখা হয়েছে মুম্বইয়ের জেলের ১ নম্বর ব্যারাকে।

আরও পড়ুন -  Kisi Ka Bhai Kisi Ka Jan: দর্শকমহলে প্রতিক্রিয়ায় হতাশার ছাপ! ‘কিসিকা ভাই কিসিকা জান’ দেখে

বিলাসবহুল জীবনযাত্রা ভুলে অন্ধকার কারারুদ্ধে কুঠুরিতে দিন কাটাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে মন্নতের রাজকুমারকে। জেলে থাকলেও জেলের ক্যান্টিনে তৈরি ভাত-ডাল-তরকারি এখন আরিয়ানের খাবার মুখে রুচছে না। জেলের সূত্রে জানা গিয়েছে, করাদে থাকাকালীন ঠিক এক্কেবারে খাওয়া-দাওয়া করছেন না আরিয়ান। জেল আধিকারিকদের তরফে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও জেলের খাবার কোনোভাবে মুখে তুলছেন না আরিয়ান।

 জেলের ক্যান্টিন থেকে কেনা বিস্কুট আর জল খেয়েই দিন কাটছে আরিয়ানের। জেলে যাওয়ার সময় নিজের সঙ্গে ১২টি জলের বোতল নিয়েছিলেন। সেই জলের মধ্যে আর মাত্র তিন বোতল জল পড়ে রয়েছে আরিয়ানের কাছে। এমনকি চারদিন ধরে জেলে স্নানও করেনি সে। জেলের নিয়ম অনুযায়ী, অভিযুক্ত বা কয়েদিরা নিজের সঙ্গে আড়াই হাজার টাকা নিয়ে কারারুদ্ধে ঢুকতে পারবে। ওই টাকা জেলের অ্যাকাউন্টে জমা থাকে আর তাঁর বদলে কয়দিকে এক মাসের কুপন দেওয়া হয়। তবে ওই কুপন দিয়ে কয়দি জেলের ক্যান্টিন থেকে শুধুমাত্র শুকনো খাবার যেমন কেক, বিস্কুট ক্রয় করতে পারবে।

আরও পড়ুন -  Mangal Dhillon: শোকের ছায়া বলিউডে, প্রয়াত অভিনেতা মঙ্গল ঢিলোঁ