দেবীর ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ, বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে আজ শুরু হলো বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বী নাগরিকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসবই নয়, এটি এখন সার্বজনীন উৎসব’।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তাঁর বাণীতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ সবার শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে সব ধর্মের মানুষ সমানভাবে উন্নয়নের সুফল উপভোগ করছে। ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’- এ মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে বাংলাদেশে সব ধর্মীয় উৎসব একসাথে পালন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনের অনুরোধ জানিয়েছেন।
ষষ্ঠীপূজার দিন আজ সোমবার (১১ অক্টোবর) সকাল পৌনে ৭টায় দেবীর ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভের মধ্য দিয়ে শুরু হলো পাঁচদিন ব্যাপী এ উৎসব। আগামী শুক্রবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে তার ইতি ঘটবে।
পঞ্জিকা অনুযায়ী, দেবী দুর্গা এবার আসছেন ঘোটকে চেপে, আর ফিরবেন দোলায় চেপে।
ঢাকা মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সূত্র অনুযায়ী, এ বছর ঢাকায় ২৩৮টি মণ্ডপে পূজা হবে। গতবারের তুলনায় এবার মণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে ৫টি। এবার দর্শনার্থীদের জন্য মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ বছর পূজায় কোনো সাংস্কৃতিক আয়োজন থাকছে না। মন্দিরের প্রবেশ পথে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা লাইন রাখা হবে বলেও পূজা কমিটি জানিয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, দুর্গাপূজা ঘিরে ‘কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা’ গ্রহণ করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত