বিশ্বকাপের ফাইনালে পর্তুগালের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেছে আলবিসেলেস্তেরা। রোববার (৩ অক্টোবর) রাতে লিথুয়ানিয়ার জালগিরিস এরেনায় ফুটসাল বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয় দুই দল। টুর্নামেন্টটির গতবারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। এবার তাদের লক্ষ্য ছিল ধারাবাহিকতা ধরে রাখা। অন্যদিকে, ইউরো জেতা পর্তুগাল এবারই প্রথম ফাইনালে উঠেছিল। আর প্রথমবারেই বাজিমাত প্যানি-ম্যাতোসদের।
ফাইনালের লড়াইয়ে দুইদলই দারুণ ফুটবল খেলে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছিল বহুগুণে। প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে পর্তুগাল। ফলও পেয়ে যায় তারা। ১৫ মিনিটে গোল করে তাদের এগিয়ে দেন প্যানি। এক গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় পর্তুগাল।
দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দেয় আর্জেন্টিনা। কিন্তু উল্টো গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফেলেন প্যানি। এরপর আর্জেন্টিনা গোল পেয়ে ব্যবধান কমালেও জিততে পারেনি। হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। অন্যদিকে, নিজেদের ইতিহাসে প্রথম ফুটসল বিশ্বকাপ শিরোপা উঁচিয়ে ধরে পর্তুগাল।
আর্জেন্টিনা এর আগে শিরোপা জিতলেও এবারই প্রথম শিরোপার স্বাদ পেল পর্তুগাল। ফিফা ফুটসাল র্যাংকিংয়েও কাছাকাছি দুই দল। সবশেষ আপডেট অনুযায়ী, ১৬৯৮ রেটিং নিয়ে তিন নম্বরে রয়েছে আর্জেন্টিনা। তাদের ঠিক পরেই অবস্থান পর্তুগালের।
‘ফুটসাল’ ফুটবলের একটা ঘরোয়া মাধ্যম। ইদানিং এই খেলাটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এমনকি ফুটসাল বিশ্বকাপও আয়োজিত হচ্ছে নিয়মিত। ফুটবলের এই ফরম্যাটে প্রতি দলে পাঁচজন করে খেলোয়াড় থাকেন। থাকেন একজন গোলরক্ষক। সর্বোচ্চ ১২জন পর্যন্ত খেলোয়াড় ব্যবহার করা যায় এই খেলায়। যত খুশি তত বদলি করা যায় খেলোয়াড়।
ফুটসালের সঙ্গে ফুটবলের আরেকটা বড় পার্থক্য হচ্ছে- মাঠের আকার। ফুটবল মাঠের চেয়ে স্বভাবতই দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে অনেক ছোট হয় ফুটসালের মাঠ। সূত্র ও ছবিঃ সময় নিউজ