মহামারিসম্পর্কিত বিধিনিষেধ আরও শিথিল করেছে কাতার। নতুন যে ঘোষণা এসেছে তাতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে করোনাবিষয়ক কড়াকড়ি প্রায় থাকছে না বললেই চলে। এমনকি, বেশিরভাগ জায়গায় মাস্ক ছাড়া চলাচলেরও অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) কাতারের মন্ত্রিসভা ঘোষণা দিয়েছে, আগামী ৩ অক্টোবর থেকে কয়েকটি ক্ষেত্র ছাড়া বাইরের কাজকর্মে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা থাকছে না। শুধু উন্মুক্ত জনসমাবেশ, বাজার, প্রদর্শনী, মসজিদ, স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালগুলোতে মাস্ক পরতে হবে।
বাজার ও শপিংমলগুলো পূর্ণ ধারণক্ষমতায় চালু রাখা যাবে। ঢুকতে পারবে শিশুরাও। তবে প্রতিটি দোকানে ক্রেতা সংখ্যার সর্বোচ্চ সীমা অনুসরণ করতে হবে।
ফুডকোর্টগুলো ধারণক্ষমতার ৫০ শতাংশ পূরণ করতে পারবে। শপিংমলে সব প্রার্থনার স্থান ও ফিটিং রুমগুলো (কাপড় পরিবর্তনের জায়গা) ফের খুলে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সব জাদুঘর ও পাবলিক লাইব্রেরিগুলো পূর্ণ ধারণক্ষমতায় পরিচালনা করা যাবে। পুরোদমে চলবে সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলোও।
আউটডোর রেস্টুরেন্ট ও ক্যাফেগুলো পূর্ণমাত্রায় চলবে। তবে ইনডোরেরগুলো চলবে ৭৫ শতাংশ ধারণক্ষমতায়। এছাড়া যেসব রেস্টুরেন্ট ও ক্যাফের সরকারি সনদ নেই, তারা আউটডোর হলে ৫০ শতাংশ ও ইনডোর হলে ৪০ শতাংশ ধারণক্ষমতায় পরিচালিত হবে।
সংক্রমণের হার ধারাবাহিকভাবে কমে আসার ফলেই করোনাবিধিতে এত বড় পরিবর্তন এনেছে কাতার কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার দেশটির জনগোষ্ঠীর মধ্যে মাত্র ৫১ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন, আর ভ্রমণকারীদের মধ্যে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে ২৫ জন।
মহামারির শুরু থেকে এযাবৎ কাতারে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫৫৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬০৫ জনের। প্রায় ২৮ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে এ পর্যন্ত ৪৭ লাখের বেশি টিকা বিতরণ করা হয়েছে।
সূত্র: আল জাজিরা