কেন্দ্রীয় কর্মচারী, গণঅভিযোগ ও পেনশন তথা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী ডাঃ জিতেন্দ্র সিং বিগত কংগ্রেস সরকারগুলির সমালোচনা করে বলেছেন, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর অবদান ও উত্তরাধিকারকে তাঁরা অবজ্ঞা করে এসেছেন। আজ নতুন দিল্লির নর্থ ব্লকে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর জীবন ও অবদান নিয়ে এক ডিজিটাল প্রদর্শনীর সূচনা করে ডাঃ সিং বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের স্বল্প পরিচিত বীর সংগ্রামীদের প্রাপ্য মর্যাদাকে যখন আমরা ফিরিয়ে দিতে উদ্যোগ নিয়েছি, তখন ইতিহাসে একাধিকবার অজ্ঞাত কারণে তাঁদের প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র, বাবাসাহেব আম্বেদকর, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী এবং সর্দার প্যাটেল সহ অসংখ্য স্বল্প পরিচিত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অবদানকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগী হয়েছেন। কিন্তু, দুর্ভাগ্যের বিষয় দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে এদের আত্মত্যাগ ও সাফল্য রাজনৈতিক ও পরিবারতান্ত্রিক সংকীর্ণ স্বার্থের কারণে বিগত কংগ্রেস সরকারগুলি সর্বদাই উপেক্ষা করে এসেছে।
ডাঃ সিং লালকেল্লার প্রাকার থেকে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার ৭৫তম বার্ষিকী অমৃত মহোৎসব হিসাবে উদযাপনের যে আহ্বান জানান তা স্মরণ করিয়ে দেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, আগামী ২৫ বছর পর ভারত যখন স্বাধীনতার শতবার্ষিকী উদযাপন করবে, সেই উপলক্ষে এখন থেকেই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
ডাঃ সিং আরও বলেন, আগামী ২৫ বছরে ভারত বিশ্বগুরু হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবে, তাই আগামী প্রজন্মকে দেশের প্রতি সেবায় উৎসর্গ করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। তিনি আরও বলেন, নবীন প্রজন্মকে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অবদান ও আত্মবলিদান সম্পর্কে সচেতন হওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, যাতে অতীতের মতো ভুল আর না হয়।
ডাঃ সিং জানান, কর্মচারী ও প্রশিক্ষণ দপ্তর প্রতি বছর পৃথক পৃথক বিষয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করবে। এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কর্মচারী ও প্রশিক্ষণ দপ্তরের সচিব শ্রী পি কে ত্রিপাঠী, অতিরিক্ত সচিব রশ্মী চৌধুরী এবং দপ্তরের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। সূত্রঃ পিআইবি।