একক কোলয়েডাল কণা সহ ক্ষুদ্র ইঞ্জিন গুলির কার্যকারিতা পরিবেশগত শব্দের পরিমাপের সাথে পরিবর্তিত হয়। গবেষকদের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে এই ধরনের মাইক্রো ইঞ্জিনের কার্যকারিতাগুলি পার্শ্ববর্তী মাধ্যমে শব্দ ওঠানামার ক্ষেত্রে মূল্যায়ন করে। সুতরাং এই ধরনের অভ্যন্তরীণ মূলক মাইক্রো ইঞ্জিনগুলি নির্মাণের জন্য ভবিষ্যতে অপরিহার্য হয়ে উঠছে। যা কিনা জটিল জৈব মূলক পরিবেশে কাজ করবে এবং বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
অ্যারোস্পেস থেকে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং পর্যন্ত প্রয়োগের ক্ষেত্রে মাইক্রো মেকানিক্যাল যন্ত্রগুলি বর্তমানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা পরীক্ষামূলক ভাবে একক কলয়েড কণা থেকে এই ধরনের যন্ত্র তৈরি করেছেন। এই পদ্ধতিতে যান্ত্রিক কাজ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন তার পরিবেশের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়। শক্তির রূপান্তরের ফলে পরিবেশের শব্দ ও পরিসংখ্যানের ভূমিকা এবং মাইক্রো মেশিনের কার্যকারিতা বোঝার জন্য প্রাকৃতিক ভাবে আণবিক মোটর জীবন্ত কোষের ভিতরে প্রবাহিত করে।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের একটি স্ব-শাসিত সংস্থা জওহরলাল নেহরু সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড সাইন্টিফিক রিসার্চ এবং ব্যাঙ্গালোরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের একদল গবেষক একটি মাইক্রোমিটার আকৃতির স্টারলিং ইঞ্জিন তৈরি করেছেন। যে ইঞ্জিন তাপ শক্তি থেকে কাইনেটিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে। লেজার ট্র্যাপের মাধ্যমে একক কলয়েডাল কণাকে যা আবদ্ধ করে।
এই গবেষণাটি সম্প্রতি নেচার কমিউনিকেশনস’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষক দলটি তাঁদের গবেষণায় আরও দেখিয়েছেন যে, ইঞ্জিনের দক্ষতা কে প্রভাবিত না করে সর্বাধিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের মোড বিভিন্ন চক্র গতিতে পাওয়া যেতে পারে।
কাজ, শক্তি এবং দক্ষতা অর্থাৎ ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা লেজার বিস্তারের হার এবং কণার কম্পনের শিথিলতার হারের উপর নির্ভর করে। এই শিথিলতার হারেরও আবার পরিবর্তন করা যেতে পারে। ফলে ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতাও পরিবর্তন করা যেতে পারে। একটি আণবিক মোটর যা একটি জীবন্ত কোষের ভিতরে পরিবহন করে তা নন থারমাল অর্থাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনের সাথে জড়িত নয়। যা কিনা শব্দের উপস্থিতিতে ভারসাম্য থেকে দূরে কাজ করে। কাজেই, নন ইকুইলিব্রিয়াম এনার্জি কনভার্শনের ক্ষেত্রে যেকোনো কৃত্তিম মাইক্রো মেশিন বায়োলজিক্যাল পরিবেশের ক্ষেত্রে কার্যকরী হবে। সূত্রঃ পিআইবি।