প্রতিমন্ত্রী শ্রী শান্তনু ঠাকুর কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দরের তিনটি প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ   কেন্দ্রীয় বন্দর, জাহাজ ও জলপথ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর আজ কলকাতায় শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দরের নেতাজী সুভাষ ডকে তিনটি প্রকল্প জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন। এর মধ্যে রয়েছে, ১ কোটি টাকা ব্যয়ে কর্মীদের জন্য ক্যান্টিন, ২২ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ধোবিতলা ও ব্রুকলিন এলাকায় নর্দমা ও ফুটপাথ তৈরি এবং ১৮ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কাটাপুকুর ও হবেকেন শেড এরিয়ায় রাস্তা তৈরি।

মন্ত্রী এরপর বন্দরের কাজকর্ম নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেন। বৈঠকে কলকাতার নেতাজী ডক সিস্টেম, হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সের চেয়ারম্যান, ডেপুটি চেয়ারম্যান ও বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। শ্রী ঠাকুর শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দরের কাজকর্ম নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন -  কালীপুজো ও দীপাবলির আলোর রোশনায় রাতভর আম বাঙালি মেতেছে

বৈঠক শেষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে শ্রী ঠাকুর জানান, কেন্দ্রীয় সরকার দেশের আন্তঃরাজ্য জলপথগুলির উন্নয়নে মোট ১১১টি প্রকল্প হাতে নিয়েছে । এর মধ্যে কুড়িটি প্রকল্প দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির জন্য। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে স্থলপথে শিলিগুড়ি ছাড়াও বাংলাদেশের ব্রহ্মপুত্র নদের মাধ্যমে জলপথ গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর জন্য প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করা হবে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন -  Price Hike: ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, এবার এই জিনিসটির দাম বাড়তে পারে!

তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকারের থেকে সবধরনের সহযোগিতা পেলে কেন্দ্রীয় সরকার সেখানে বন্দর গড়ে তুলবে। কেন্দ্র এই প্রকল্পের বিষয়ে আগ্রহী। কেন্দ্রের দেওয়া সব ধরনের শর্ত মেনে নিলে সেখানে কাজ শুরু করা সম্ভব বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। কেন্দ্রের তরফে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারকে এবিষয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে রাজ্য সরকার একক ভাবে এই কাজ করতে চাইলে তারা তা করতে পারে বলে শ্রী ঠাকুর জানান।

আরও পড়ুন -  Train Rules: ট্রেন মিস করলে কটি স্টেশন পর্যন্ত টিকিট বৈধ থাকবে? জেনে নিন ভারতের রেলের নিয়ম

তবে যেহেতু এই প্রকল্পের সঙ্গে রেল সহ কেন্দ্রের অন্যান্য দপ্তরগুলি যুক্ত রয়েছে, তাই এই প্রকল্পে কেন্দ্রের সহযোগিতা প্রয়োজন। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এই প্রকল্প কেন্দ্রের করা উচিত বলে তিনি মনে করেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যান বিনীত কুমার সহ পদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। সূত্রঃ পিআইবি।