খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ করোনাকালে স্কুল বন্ধ প্রায় দুবছর। কিন্তু প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুল পিছিয়ে নেই পঠনপাঠনে। এই পরিস্থিতিতে ছাত্রদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে পড়ানোর ব্যাবস্থা করে এবছরে জাতীয় শিক্ষকের সম্মানে ভূষিত হলেন বাংলার একমাত্র শিক্ষক ড: হরিস্বামী দাস।
আজ ভারত সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের আওতাধীন ফিল্ড আউটরিচ ব্যুরো বর্ধমান শাখা আয়োজিত ওয়েবিনারে খোলামেলা আলাপচারিতায় অ;শ নিলেন মালদার শোভানগর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ড: দাস। একঘণ্টার আলাপচারিতায় ড: দাস বলেন করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকার সময় তিনি কিউয়ার কোডের মাধ্যমে পঠনপাঠন শুরু করেন। তিনি বলেন, আ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ কম্পিউটার কোর্সে শিক্ষানবিশ থাকাকালীন তিনি তার স্কুলের বই ও অন্যান্য পঠনপাঠনের বিষয়গুলিকে কিউআর কোডের আওতায় আনেন এবং ছাত্ররা এরফলে তাদের সুবিধে মতো সময় তাদের মোবাইল ফোনে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে থাকে। ডিজিটাল শিক্ষণপদ্ধতির এ হেন অভিনব ব্যবস্থার জন্যই ড: হরিস্বামী দাস আজ বাংলা থেকে একমাএ জাতীয় শিক্ষকের সম্মানে ভূষিত। পাশাপাশি তিনি ‘শিক্ষক রত্ন’ সম্মানেও সম্মানিত হয়েছেন। আজকের আলাপচারিতায় পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশ রক্ষায় দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে তার কর্মকাণ্ডের বিষয়ে আলোকপাত করে তিনি বলেন, ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করে পরিবেশ রক্ষা করা এবং জলসংরক্ষণের অভিনব পদ্ধতি হাতে কলমে তিনি শিখিয়ে যাচ্ছেন।
শতাধিক অ;শগ্রহণকারীকে নিয়ে আজকের অনুষ্ঠানে কলকাতার প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো এবং রিজিওন্যাল আউটরিচ ব্যুরোর অতিরিক্ত মহানির্দেশিকা শ্রীমতী জেন নামচু অ;শ নেন। তিনি বলেন শিক্ষকদের অভিনব কর্মকাণ্ড ছাত্রদের অনুপ্রাণিত করে।
অনুষ্ঠানে শোভানগর হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রীরা বলে, স্কুলের নতুনধরণের পঠনপদ্ধতিতে তারা খুবই উপকৃত। সূত্রঃ পিআইবি।