খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ টলিউডের এই অভিনেতা নিজের লুক আর অভিনয় দিয়ে ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দা দুই পর্দাতে তাক লাগিয়েছেন। নিজের অভিনয় দিয়ে সর্বত্রই মু্গ্ধতা ছড়িয়েছেন। ‘বোঝে না সে বোঝে না’ র অরণ্য সিংকে আজ লক্ষ তরুণী ভালোবেসে চলেছে৷ অন্যদিকে টলিউডেও গত পাঁচ বছর চুটিয়ে অভিনয় করে চলেছেন এই হ্যান্ডসাম হাঙ্ক। শুধু টলিউড নয়, যশ কিন্তু মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন বলিউডেও।
যশ পেয়ে গেলেন ‘কলকাতার সব চেয়ে সুদর্শন নায়ক’-এর আখ্যা। তবে কে দিল এই নাম ? সাদা টি-শার্ট আর ব্লু ডেনিম জ্যাকেটে রোদচশমা পড়ে নিজের এই কুল লুকে একাধিক ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন যশ। এরপরেই ‘কাবিল’, ‘মুম্বই সাগা’, ‘শ্যুটআউট অ্যাট লোখন্ডওয়ালা’ র মতো একাধিক ছবিতে অভিনয় করা অভিনেতা রোহিত রায় যশের স্টাইল দেখে এহেন মন্তব্য করে বসলেন। শুধু একথা লিখলেন না পাশাপাশি তিনি আরও লেখেন, ‘আমি লিখতে চেয়েছিলাম পুরো দেশে তুমি সব চেয়ে সুদর্শন। কিন্তু তার পর ভাবলাম আমার বলিউডের বন্ধুরা অসন্তুষ্ট হতে পারে। ভাল থেকো।’ রোহিতের কাছ থেকে এই আখ্যা পেয়ে খুশিতে আপ্লুত স্বয়ং যশ।
View this post on Instagram
কমেন্ট বক্সে রোহিতকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি তিনি। রোহিত রায়ের দাদা রণিত রায়ের সঙ্গে একসময়ে কাজ করেছেন যশ। ‘পাগল প্রেমী’ দিয়ে অভিনয় জগতে পা রাখেন যশ। এরপর দীর্ঘ কয়েক বছর মুম্বইয়ের টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে বিভিন্ন ধারাবাহিকে কাজ করেছেন অভিনেতা। এরপরেই বালাজি টেলিফিল্মসের ‘বন্দিনী’ ধারাবাহিকে রণিত রায়ের ছেলের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন যশ। কালার্স চ্যানেলের ‘না আনা ইস দেশ লাডো’ ধারাবাহিকে।
এরপর সবচেয়ে বড় ব্রেক পায় ২০১৩ সালে স্টার জলসার ধারাবাহিক ‘বোঝে না সে বোঝে না’। এই ধারাবাহিক ছিল যশের কেরিয়ারের সেরা ধারাবাহিক। এই ধারাবাহিক শেষ হতেই ২০১৬ সালে বিরসা দাশগুপ্তের ‘গ্যাংস্টার’ ছবির মাধ্যমে ববড় পর্দায় অভিষেক। প্রথম সিনেমাতেই সাফল্যের মুখ দেখেন যশ। এই ছবিতে যশের নায়িকা ছিলেন মিমি চক্রবর্তী। মাঝে ভোট নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন৷ তবে নির্বাচনের লড়াইতে জিততে না পারেননি। তাই এখন অভিনয়কে গুরুত্ব দিচ্ছেন অভিনেতা। সদ্যই নিজের আসন্ন প্রোজেক্টে কাজ শুরু করবেন যশ।