খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ দেবের (Dev) জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে ত্রিপুরায় গড় তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই দেব বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন।
ঘাটালের এবারের বন্যা দেখে কেন্দ্রের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ দেব বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) প্রধানমন্ত্রী না হওয়া পর্যন্ত জল-যন্ত্রণা থেকে ঘাটালবাসীর মুক্তি নেই। দেবের এই মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করেছিল বিজেপি।
পয়লা সেপ্টেম্বর ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণের দাবিতে কেন্দ্রীয় জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত (Gajendra Singh Shekhawat) এর সঙ্গে বৈঠক করেন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ও বিধায়করা। এই বৈঠকে দেবও উপস্থিত ছিলেন। পরে মিডিয়ার সামনে দেব জানান, কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের দাবি সম্পর্কে ইতিবাচক ভূমিকা নিতে পারে। কিন্তু ঘাটালের বন্যা মোকাবিলার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী করার প্রসঙ্গ নিয়ে দেবের মন্তব্যের কথা আবারও উঠে এসেছে। এই প্রসঙ্গে দেব বলেন, ঘাটালের মানুষের কষ্টের কথা তিনি দিল্লিতে একাধিকবার বলেছেন। এই কারণে এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দেব। কিন্তু তাঁর মতে, ঘাটালের জল-সমস্যাকে গুরুত্ব দিতে কেন্দ্র নারাজ।
View this post on Instagram
তাঁর মনে হয়েছিলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হলে হয়তো এই সমস্যার সমাধান হবে। সেই জন্য তিনি ওই কথা বলেছিলেন। এরপরেই দেব বলেন, একজন বাঙালি, তিনি যদি বিজেপির তরফেও হন, যিনি অযথা সোনার বাংলা গড়ার কথা না বলে মানুষের কষ্ট বুঝবেন, তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিত। একজন বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হলে তবেই এই সমস্যা দূর হবে।
অপরদিকে দেবের মুখে বাঙালি বিজেপি নেতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথা শুনে অস্বস্তিতে পড়ে যান সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত মানস ভুঁইয়া (Manas Bhuina), সুখেন্দুশেখর রায় (Shukhendushekhar Roy) এর মতো তাবড় তৃণমূল নেতারা। পরে দেবকে আরও প্রশ্ন করা হলে সুখেন্দুশেখর তাঁকে জবাব দিতে দেননি। তিনি বলেন, দেব যা বলার বলে দিয়েছেন, তিনি আর কিছু বলবেন না।