খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর উপরে বিজেপি আশ্রিত গুন্ডাদের হামলায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। রাজ চক্রবর্তীর উপরে প্রায় জনা তিরিশেক বিজেপি কর্মী হামলা চালায় বলে খবর। হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৬ জন তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন তৃণমূল কর্মীর অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
রবিবার বিকেল নাগাদ ব্যারাকপুর স্টেশন লাগোয়া একটি অঞ্চলে হনুমান মন্দির সংস্কার নিয়ে একটি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। ব্যারাকপুর এর পুর-প্রশাসক উত্তম দাস , ব্যারাকপুরের জেলার সহ-সভাপতি জয় জিৎ দাস ও অন্যান্যরাও উপস্থিত ছিলেন। সেই সময় আচমকা প্রায় ৩০ জন গুন্ডা হঠাৎ করেই ঢুকে পড়ে সেই বৈঠকে। তারা সরাসরি বিধায়ক এর উপর চড়াও হয়। বিধায়ক কে বাঁচাতে গিয়ে ৬ জন তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছেন বলে খবর। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। গুরুতর জখম ওই তৃণমূল কর্মীকে বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে টিটাগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এই মামলা নিয়ে।
তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি জয় জিৎ দাস বলছেন, ‘আজকে ব্যারাকপুরে হনুমান মন্দির সংস্কার নিয়ে একটি বৈঠকে আমরা উপস্থিত ছিলাম। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। আমরা বৈঠক করছিলেন কিভাবে হনুমান মন্দির সংস্কার করা যায় সেই নিয়ে। তখনই হঠাৎ করে বেশ কয়েকজন গুন্ডা পিছন থেকে এসে রাজ চক্রবর্তীর উপরে হামলা চালায়। রড এবং বাঁশ দিয়ে তাকে আক্রমণ করার চেষ্টা করা হয়। তিনি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। তার নিরাপত্তা রক্ষীরা তাকে সরিয়ে নিয়ে যায়। আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মী এই হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন।’
টিটাগর থানার পুলিশ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। স্থানীয় বিজেপি নেতা অর্জুন সিং কে এই হামলার ঘটনা নিয়ে ফোন করা হলেও তার কাছ থেকে কোনরকম উত্তর মেলেনি। তবে বরাবরই, বেশ সংবেদনশীল জায়গা হিসেবে পরিচিত ব্যারাকপুর শিল্পনগরী। এখানে ভাটপাড়া ও জগদ্দলের মতো বেশ কিছু এলাকা রয়েছে যেখানে নানা রকম শিল্প গড়ে ওঠে। তবে এই ব্যারাকপুর এলাকায় বিভিন্ন রকম অসামাজিক কাজকর্ম মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে বিগত কয়েক বছর ধরে। এই নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় রয়েছে প্রশাসন।