খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকে মমতা ঘোষণা করলেন পুজোর পরে স্কুল খোলার সম্ভাবনা রয়েছে করোনাভাইরাস এর তৃতীয় ঢেউ যদি অত্যন্ত বাড়াবাড়ি আকার ধারণ না করে তাহলে হয়তো পুজোর ছুটির পরে খুলে যেতে চলেছে স্কুল। আজকে নবান্নে সাংবাদিকদের সাথে এমনটাই ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললেন, স্কুল খোলার পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে করোনাভাইরাস এর তৃতীয় ঢেউ এর উপরে। যদি করোনাভাইরাস এর তৃতীয় ঢেউ চলে আসে তাহলে স্কুল খোলা সমস্যা রয়েছে। কিন্তু যদি সেরকমটা না হয় তাহলে পূজার ছুটির পরে সমস্ত স্কুল খুলে যাবে পশ্চিমবঙ্গের।
স্কুল খোলা প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এদিন বললেন, “পূজো এসে গেছে। আমাদের রাজ্যে দুর্গাপুজো থেকে ভাইফোঁটা পর্যন্ত এমনিতেই স্কুল বন্ধ থাকে। আমাদের রাজ্যে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি মোটামুটি ভালো। যদি এরকম পরিস্থিতি থাকে তাহলে পূজার ছুটির পরে স্কুল খোলা যেতে পারে। কিন্তু তৃতীয় ঢেউ চলে আসলে আমাদের তো আর কিছু করার নেই। ইতিমধ্যেই অন্যান্য রাজ্যে করোনাভাইরাস এর তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেছে। কেরল এবং মহারাষ্ট্রে প্রত্যেকদিন আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরকম অবস্থায় যদি পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয় ঢেউ চলে আসে তাহলে তো আমরা স্কুল খুলতে পারবো না। আমরাও চাইছি যাতে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে যেতে পারে। তাই সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পুজোর পরে সম্পূর্ণ স্যানিটাইজেশন করে তারপরেই আমরা স্কুল খুলবো।”
আজকে নবান্নে আদিবাসী উন্নয়ন পর্ষদের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে যোগ দিয়ে বেশকিছু আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় নতুন করে স্কুল খোলার ব্যাপারে ঘোষণা করলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, বাজেট ঘোষণা অনুযায়ী সাঁওতালি এবং অলচিকি ভাষায় মোটামুটি ৫০০ টি নতুন স্কুল খোলার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। উত্তরবঙ্গের রাজবংশী ভাষা তে স্কুল খোলা হবে মোটামুটি ২০০টি পাশাপাশি ইংরেজি ভাষায় ১০০টি স্কুল করতে চলেছে রাজ্য সরকার।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হরিয়ানা, উত্তরাখন্ড ও পাঞ্জাবের মত জায়গায় ইতিমধ্যেই স্কুল খুলে গেছে। কর্ণাটক ও আরো অন্যান্য বেশ কয়েকটি রাজ্যের স্কুল খোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে সব থেকে বেশি আক্রান্ত হবেন শিশুরা এবং এই কারণে শিশুদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে এখনই স্কুল খোলা নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে চাইছেনা পশ্চিমবঙ্গ সরকার।