পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি যুক্তিসঙ্গত, যুক্তি দিয়ে বোঝালেন দিলীপ

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ   কিছুদিন আগে থেকেই বিজেপি সাংসদ জন বারলার পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি নিয়ে তোলপাড় হয়ে উঠেছিল বঙ্গ রাজনীতি। মাস দুয়েক আগেই পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি নিয়ে সোচ্চার হয়ে উঠেছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ। শুধু তাই নয় সৌমিত্র খাঁ এবং আরো অনেকেই পৃথক রাজ্যের দাবি জানিয়েছিলেন। সেই সময় দলের অন্দরে সমস্যার সৃষ্টি হওয়ার কারণে তখন পর আবার তা দিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

কিন্তু সেই বার্তা দেওয়ার মাস কয়েকের মধ্যেই একেবারে উল্টো সুর দিলীপ ঘোষের গলায়। জনকে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করার সময় দিলীপ বললেন, “পৃথক রাজ্যের দাবি তোলা অবৈধ নয়। মানুষের অধিকারের জন্য পৃথক রাজ্যের দাবিতে কোনভাবেই অমূলক নয়। আর যদি উত্তরবঙ্গ এবং জঙ্গলমহল আলাদা রাজ্যের দাবি তোলে তার দায় সম্পূর্ণরূপে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই সমস্ত অঞ্চলে কোনো উন্নয়ন হয়নি কেন? জঙ্গলমহলের মানুষকে শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের জন্য বাইরে যেতে হচ্ছে। স্বাধীন দেশে থেকেও কেন অন্য জায়গায় যেতে হচ্ছে কাজের জন্য, শিক্ষার জন্য? কেন এতদিন কোনো উন্নয়ন হয়নি?”

আরও পড়ুন -  কন্যাশ্রী বানানে কন্নাশ্রী, দিলীপ ঘোষকে ‘বর্ণপরিচয়’ বইটি দিলেন কংগ্রেস নেতা

দুদিনের সফরে উত্তরবঙ্গ গিয়ে দিলীপ ঘোষ শনিবার সকালে জলপাইগুড়িতে দলীয় কার্যালয়ে জণ বারলা কে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেই সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে একাধিক বক্তব্য রাখেন তিনি। তিনি বলেন, “এই অবস্থায় যদি তারা পৃথক রাজ্যের দাবি তুলে থাকেন,তাহলে সেটা কোনভাবেই অবৈধ নয়। জন একজন জনপ্রতিনিধি, তাই মানুষের কথা তুলে ধরা তার কাজ। গোর্খাল্যান্ডের দাবি জিইয়ে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন সই করেছিলেন, তখন কোনো দোষ হয় নি আর আমরা মানুষের কথা তুলে ধরলেই আমরা বিচ্ছিন্নতাবাদী?”

আরও পড়ুন -  সভাপতি হিসাবে থেকে গেলেন জিতেন্দ্র তেওয়ারি। মন্ত্রী মলয় ঘটককে জেলা চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে

যদিও, দিলীপ ঘোষ সরাসরি কিন্তু জন এবং সৌমিত্রদের দাবিকে কখনো নস্যাৎ করে দেননি। তিনি আগেও বলেছিলেন, “রাজ্যের সার্বিক উন্নয়ন না হলে মানুষের বলার অধিকার রয়েছে।সুযোগ এসেছে বলে আর সবাই নিজেদের মতামত নিজেরা ব্যর্থ করতে পারছে। তারা অত্যাচারিত, বঞ্চিত এবং শোষিত। তৃণমূল এবং সিপিআইএম এতদিন ধরে বাংলায় শাসন করেছে, তাদের অপদার্থ তার জন্য আজকে বাংলার মানুষের মনে এরকম হতাশা। দলে থাকতে গেলে দলের সিদ্ধান্ত মেনে কাজ করতে হবে। তবে দলের মতামত কিন্তু ওই সাংসদদের সম্পূর্ণ বিরোধী ছিল। তবে তৃণমূল আমলে কোনো উন্নয়ন হয়নি। খালি উত্তরকন্যা আর ডুয়ার্স বানিয়ে ফেললে উন্নয়ন হয় না। কেন নিজের রাজ্যে তারা কাজ পাচ্ছেন না, কেন পরিবারের সঙ্গে তারা থাকতে পারছেন না?”

আরও পড়ুন -  Web Series: এইবার রাজসী ভার্মা আরও সাহসী হলেন এই ওয়েব সিরিজে, মনে করে আগে দরজা বন্ধ করুন তারপর দেখুন