Duare Sarkar: জেলাশাসকদের সতর্ক করল নবান্ন, সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কোন তোলাবাজি হবে না

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ   দুয়ারে সরকার প্রকল্প চালু হতে না হতেই আবার অসাধু ব্যক্তিদের দৌরাত্ম্য শুরু হতে পারে। এই নিয়ে এবারে প্রতিটি জেলার জন্য আলাদা করে সতর্কবার্তা জারি করল নবান্ন কর্তৃপক্ষ। নবান্নের তরফ থেকে মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী প্রতিটি জেলার জেলা শাসকের উদ্দেশ্যে একটি বার্তা দিয়েছেন যাতে বলা হয়েছে, এই দুয়ারে সরকার প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেবার নাম করে যেন কেউ অতিরিক্ত টাকা পয়সা না তোলে, সেদিকে নজর রাখতে হবে জেলাশাসকদের। যথাযথ প্রচার করে গ্রাম পঞ্চায়েতের সকলের উদ্দেশ্যে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।

আরও পড়ুন -  বাংলা পরিদর্শনে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ইয়াস ঘূর্ণিঝড় এর অবস্থা দেখতে, মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন ?

পাশাপাশি মুখ্যসচিবের বার্তায় সরাসরি জানানো হয়েছে, এটা সম্পূর্ণরূপে একটা প্রশাসনিক বিষয়। শুধুমাত্র সরকারি অফিসে এই কাজ করতে হবে, কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এর সাথে যুক্ত থাকবেন না বলেও সরাসরি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যসচিব বিশেষ বার্তায় জানিয়ে দিয়েছেন, শুধুমাত্র সরকারি আধিকারিকরা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন আর কেউ নয়। আপনাদের জানিয়ে রাখি, দুয়ারে সরকার কর্মসূচি চালু হচ্ছে আগামী ১৬ আগস্ট থেকে এবং চলবে টানা ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন করা যাবে এই দুয়ারে সরকার কর্মসূচি থেকে।

আরও পড়ুন -  রায়পুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের মৌন মিছিল

 দুয়ারে সরকার কর্মসূচির সুবিধা গ্রহণের জন্য জেলায় জেলায় মানুষের ভিড় পড়তে পারে। সেই কারণে মুখ্য সচিব করোনাভাইরাস নিয়ে বেশ কিছুটা চিন্তায় আছেন। তিনি জেলাশাসক দের উদ্দেশ্যে জানিয়ে দিয়েছেন যেন সম্পূর্ণরূপে করোনাভাইরাস এর সুরক্ষা নিয়ে তার পরেই এই দুয়ারে সরকার কর্মসূচি করা হয়। জেলা শাসকদের সঠিকভাবে ভিড় ম্যানেজ করার বিষয় নিয়ে জানিয়েছেন মুখ্য সচিব।

সংশ্লিষ্ট মহলের মতামত, এর আগেও নবান্নের তরফ থেকে অনেকগুলি ভালো প্রকল্প চালু করা হলেও বারংবার বিভিন্ন ধরনের দলীয় রাজনীতির চাপে পড়ে কোথাও হারিয়ে যায় নবান্নের ওই প্রকল্প গুলি। অনেকই সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন কিন্তু অনেকে আবার দলীয় রাজনীতির ফাঁদে পড়ে এই প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হয়ে যান। এছাড়াও কাটমানি, তোলাবাজির মত অনেকগুলি শব্দবন্ধ নবান্নের বিভিন্ন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায় মাঝে মধ্যেই। তবে এবারে নবান্ন কিছুটা সতর্ক। লক্ষীর ভান্ডার এবং আরো অন্যান্য প্রকল্প যাতে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা যায় সেই জন্য ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে নবান্ন কর্তৃপ কর্তৃপক্ষ। সমস্ত রকমের দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে যেনো মানুষের ভালো করা যায় সেটাই বর্তমানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রধান লক্ষ্য।

আরও পড়ুন -  ইসিএল দ্বারা পরিচালিত বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করা হচ্ছে