খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ এতদিন পর্যন্ত জলের যুদ্ধের ক্ষেত্রে ভারতের হাতে ছিল শুধুমাত্র আইএনএস জাহাজ ও তার কিছু মিসাইল। এবারে জলযুদ্ধের ক্ষেত্রে সত্তিকারের শক্তিশালী হয়ে উঠতে চলেছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে ভারতে আসতে চলেছে দুনিয়ার সব থেকে শক্তিশালী রণতরী বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র হারপুন মিসাইল। ভারতকে এই বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়ে দিল বাইডেন প্রশাসন। ফলে এবারে আমেরিকা থেকে সরাসরি হারপুন মিসাইল ভারতে আসতে চলেছে খুব শীঘ্রই।
৮২ মিলিয়ন ডলার খরচ করে এই সমস্ত মিসাইল আনা হচ্ছে ভারতে। পেন্টাগন একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ” ভারত আগেই এই হারপুন মিসাইল কেনার ব্যাপারে প্রস্তাব দিয়েছিল। তার পাশাপাশি মিসাইল এর রক্ষণাবেক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। এদিন মার্কিন বাইডেন প্রশাসনের তরফ থেকে এই মিসাইলের বিক্রির পেপারে সবুজ সংকেত দিয়েছে। শুধু তাই নয়, এই মিসাইল বিক্রি হলে যে ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আছে তা আরো শক্তিশালী হবে।”
ভারতের হাতে যদি এই হারপুন মিসাইলের মতো একটি বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র চলে আসে, তাহলে পাকিস্তান ও চীনের মতো বেশ কিছু রাষ্ট্র বেশ চাপের মধ্যে পড়ে যাবে। এই মিসাইল যদি ভারতের হাতে আসে তাহলে ভারতকে জলযুদ্ধে টেক্কা দেওয়া আর সহজ হবে না। জানা যাচ্ছে এই মিসাইল বিক্রির ক্ষেত্রে মূল কন্ট্রাক্টর হবেন নির্মাণকারী সংস্থা বোয়িং ও সেন্ট লুইস। ১৯৭৭ সালে এই মিসাইল তৈরি করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জানা যায়, যে কোন আবহাওয়ায় দুনিয়ার যে কোন প্রান্তে সমানভাবে এই মিসাইল কাজ করতে পারে।
তার পাশাপাশি সমুদ্রের অনেকটা নিচে থেকে এই মিসাইল উড়ে যাবে ও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম হবে। এর ফলে, জলযুদ্ধের ক্ষেত্রে ভারত বর্তমানে অনেকটাই শক্তিশালী। গত ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময়ে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রির ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কথা বলেন। জানা যায় দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিষয় নিয়ে বেশ কিছু কথা হয়। তারপরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে তার মেজর ডিফেন্স পার্টনার হিসেবে দাবি করেছিল। তার মোটামুটি পাঁচ বছর পরে ২০২১ সালে ভারতের হাতে আসতে চলেছে পৃথিবির সব থেকে শক্তিশালী আন্ডারওয়াটার মিসাইল।