খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ জাতীয় রাজনীতিতে নিজেকে একজন জোরদার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে সামনে আনতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির দিল্লি সফর। কিন্তু তার মধ্যেই আবার একটি নতুন করে অঘটন ঘটিয়ে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লিতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি নিজেকেই বহিরাগত বলে দাবি করে দিলেন। মঙ্গলবার বিকেলে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বৈঠক করার সময় দিল্লিতে নিজেকে বহিরাগত বলে উল্লেখ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বহিরাগত শব্দটি এই বছরে বেশ অনেক বার উচ্চারিত হয়েছে। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বহিরাগত শব্দটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একরকম স্লোগান ছিল। সেই স্লোগান নিয়ে দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতাদের বারংবার কটাক্ষ করেছেন তিনি। তৃণমূলের প্রচারের সেই স্লোগানে বারবার উত্তপ্ত হয়েছে বঙ্গ রাজনীতি। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, এমনকি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, কেউ এই বহিরাগত থেকে বাদ যাননি।
এবারে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই নিজেকে বহিরাগত বলে বসেছেন। মঙ্গলবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আধঘন্টা মত বৈঠক শেষে তিনি বাইরে আসেন। তারপরে রাস্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পরিকল্পনা আছে বলে তিনি জানিয়েছেন। কিন্তু মমতা বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু সেখানে কিছু সমস্যা রয়েছে। আমার করোনা টিকার দুটি ডোজ নেওয়া হয়ে গেছে। তবুও এখানে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট চাইছে রাষ্ট্রপতি ভবন। আমি এখন কোথা থেকে কি ভাবে পরীক্ষা করাবো?
তার পরেই হঠাৎ করে মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে বহিরাগত বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘ আমিতো এখানে বহিরাগত। ‘ বেফাঁস মন্তব্য করে ফেলেছেন বুঝতে পেরে পরমুহুর্তেই ঢোক গিলে তিনি আবার বলেন, ‘ না, মানে আমার এখানে বাড়ি আছে।’ বিজেপি নেতাদের যখন মুখ্যমন্ত্রী বারংবার বহিরাগত বলে কটাক্ষ করে আসছিলেন, তখন বিজেপি নেতাদের প্রশ্ন ছিল, অন্য রাজ্যে কি তাহলে তৃণমূল নেতারা বহিরাগত নয়? এই প্রশ্নের উত্তর স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী আজ নিজেই দিয়ে দিলেন। যদিও এখনও বিজেপির কোন নেতার কাছ থেকে এই মন্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া আসেনি।