রাজনৈতিক কারণে, গ্রামের উন্নয়ন থমকে সাংসদের দত্তক নেওয়া গ্রামের !

Published By: Khabar India Online | Published On:

টুঙ্কা সাহা, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, আসানসোলঃ   রাজনৈতিক কারণে গ্রামের উন্নয়ন থমকে সাংসদের দত্তক নেওয়া গ্রামের। 2014 সালে কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় দত্তক নিয়েছিলেন মাইথন ড্যাম্পের অত্যন্ত সিধাবাড়ি গ্রামকে। সাংসদ দত্তক নেওয়ার পর ওই গ্রামে বেশকিছু রাস্তা, কিছু সোলার চালিত লাইট সহ সাব মার্সেল দ্বারা জলের ট্যাঙ্ক লাগিয়ে পানীয় জলের ব্যবস্থা করেছিলেন কিন্তু আজ সেগুলি তাই নষ্ট হয়ে গিয়েছে বললেই চলে রাস্তার হাল বেহাল সাবমারসাল থাকলেও তা বেকার হয়ে পড়েছে এর ফলে জলের সমস্যা তৈরি হয়েছে। সোলার চালিত লাইট লাগানো হয়েছিল কিন্তু বেশকিছু সোলার লাইট নষ্ট হয়ে গেছে এমনই অভিযোগ করছেন গ্রামবাসীরা পাশাপাশি তারা আরও অভিযোগ করছেন যে বাবুল সুপ্রিয় এই গ্রামকে দত্তক নিয়েছে কিন্তু এই গ্রামে অল্প বিস্তর উন্নয়ন হলেও আর কিছু উন্নয়ন হয় নি।

আরও পড়ুন -  মন্ত্রিত্ব হারালেন বাবুল - দেবশ্রী, পদত্যাগ হর্ষবর্ধনের

স্থানীয় গ্রামবাসীরা বলেন যে ছোট বাচ্চা কে দত্তক নিলেন ছোট থেকে তাকে পড়াশোনা করিয়ে বড় করে তার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে হয় সেটাই হলো দত্তক নেওয়া কিন্তু বাবুল সুপ্রিয় তা জানেন না যে দত্তক হলে কি করতে হয়।

গ্রামবাসীরা আরো বলেন বাবুল সুপ্রিয় যখনই গ্রামকে দত্তক নিয়েছিলেন আমরা ভেবেছিলাম হয়তো এই গ্রামের প্রচুর উন্নতি হবে কিন্তু উন্নতি হয়নি পাশাপাশি বাবুল সুপ্রিয় কে 2018 পর এখানে দেখতে পাওয়া যায়নি।

পাশাপাশি তারা আরো বলেন করণা মহামারীর সময় সাংসদকে এলাকায় দেখতে পাওয়া যায়নি কোনো রকম সহযোগিতা করতে এমনকি উনার কোন রিপ্রেজেন্টেটিভ কেউ এই এলাকায় দেখতে পাওয়া যায়নি এই মহামারী সময়। তারা আরো বলেন তিনি তো মন্ত্রী ছিলেন তখন ওনার কাজের চাপ ছিল উনি আসতে পারতেন না এখন তারুনি মন্ত্রী নন তিনি এলাকায় আসছেন না।

আরও পড়ুন -  ইসরায়েল বন্ধ করল গাজায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং পণ্য সরবরাহ

করণা মহামারীর সময় আমাদের সাংসদ আমাদের পাশে দাঁড়ায়নি বরং আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন আমাদের বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় এই মহামারিতে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

এই বিষয়ে সালানপুর ব্লক তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ভোলা সিং বলেন শুধু দত্তক নিলাম বলে মুখে বললে হবে না গ্রামের উন্নয়ন করতে হবে 2018 পরে সাংসদকে এলাকায় দেখতেই পাওয়া যায়নি। যতটা পারছি আমরা বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় এর নির্দেশে উনার বিধায়ক তহবিল থেকে ওই গ্রামের অসুবিধার সমাধানের চেষ্টা করে চলেছি। উনি তো এ এলাকায় আসেন না তাই ওনাকে নিখোঁজ সাংসদ বলা চলে।

অপরদিকে বিজেপির আসানসোল জেলা কনভেনার শিবরাম বর্মন বলেন টপ টেন সাংসদদের মধ্যে রয়েছে বাবুল সুপ্রিয়র নাম তৃণমূল সরকার কাজ করতে দিচ্ছেন না। বাবুল সুপ্রিয় সাংসদ 5 কোটি টাকা পান সেই টাকা দিয়ে আসানসোলের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কাজ করা হয়েছে এরপর তিনি সিতাবারি প্রসঙ্গে বলেন ওই এলাকায় মৎস্যচাষের জন্য ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন -  পছন্দ-অপছন্দ, ভালোলাগা-মন্দলাগা

ওই প্রকল্পের মাছ চুরি করে নেওয়া হয় জাল ছিঁড়ে ফেলা হয় পাশাপাশি তিনি বলেন ওই গ্রামকে টুরিস্ট পয়েন্ট বানানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল কিন্তু তৃণমূল সরকার তা করতে দেননি। বাবুল সুপ্রিয়র গ্রামের না আসা প্রসঙ্গে বলেন যে বাবুল সুপ্রিয় 2018 সালের 19 সালে আস তাতে কোন কিছু যায় আসে না উনি সব কাজের মনিটরিং করেন উনার কাজ হচ্ছে কোথা থেকে অর্থ যোগাতে অর্থ জোগান দেওয়া এবং তার নির্দেশ মতে এলাকায় কাজ করা।