খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ দিল্লি গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখা করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। রাজনৈতিক মহলে এই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। মোদি মমতার সাক্ষাৎকার মানে কিছু একটা হাইভোল্টেজ। এর আগেও যতবার মোদি ও মমতা একসাথে দেখা করেছেন ততবার কোন না কোন বিষয়ে তাদের মধ্যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন এই কথা। তবে শুধুমাত্র দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নয় এবং রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করতে চলেছেন তিনি। তিনি দেখা করবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, নির্বাচনের পরে আমি দিল্লি যেতে পারিনি। প্রতিবার পার্লামেন্ট চলার সময় আমি একবার দিল্লিতে যাই। এ বছরও তার অন্যথা হবে না। আমি দিল্লিতে যাব কিন্তু এখনো পর্যন্ত তারিখ ঠিক করে উঠতে পারিনি। সময় পেলে প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আমি দেখা করতে চাই। নতুন এবং পুরনো বহু মুখের সঙ্গে আমার দেখা করার কথা রয়েছে। এই নতুন এবং পুরনো মুখের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মতো বেশ কিছু নেতা। বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের বিপুল জয়লাভের পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে একটাই সম্ভাবনা উঠে আসছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ত নিজেই এবারে সারা ভারতের সমস্ত বিরোধী শিবির কে এককাট্টা করতে চাইছেন। বিশেষত পাঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশের ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি যাত্রা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠছে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এবারে বিরোধী জোটের একটি অন্যতম বড় মুখ হিসেবে সামনে আসতে পারেন। কিন্তু তিনি নিজেও জানেন যদি শুধুমাত্র আঞ্চলিক পার্টি দিয়ে জোট তৈরি করা হয় তাহলে কিন্তু বিজেপিকে হারানো সম্ভব নয়। এই জোটে অবশ্যই প্রয়োজন হবে কংগ্রেস কে। তাই হয়তো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরাসরি কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
অন্যান্য বিরোধী নেতাদের সঙ্গেও তা দেখা করার কথা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাঁচ দিনের জন্য দিল্লী যাচ্ছেন। সেখানে গিয়ে রাজ্যের টিকাকরণ নিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি এবং তৃণমূল এর মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং নির্বাচন পরবর্তী হিংসা নিয়ে কথাবার্তা হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।