খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ কয়েক বছর আগে যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেসের। এর মধ্যেই কংগ্রেসের প্রতি মোহভঙ্গ। কংগ্রেস ত্যাগ করে এবারে হয়তো ঘাসফুলের দিকে পা বাড়াতে চলেছেন বর্ষিয়ান বলিউড তারকা তথা কংগ্রেস নেতা শত্রুঘ্ন সিনহা। তৃণমূল কংগ্রেস শত্রুঘ্ন সিনহা কে এবারে রাজ্যসভার টিকিট দিতে চলেছে। রাজ্য রাজনীতির গণ্ডি পেরিয়ে এবারে দেশীয় রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই হয়তো এই প্রবীণ কংগ্রেস নেতাকে দল ভাঙিয়ে নিজের দলে নিয়ে আসার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন তিনি।
শত্রুঘ্ন সিনহা কবে তৃণমূলে যোগদান করবেন সেই নিয়ে এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি কিছুই। মনে করা হচ্ছে আগামী একুশে জুলাই এর মঞ্চে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগদান করতে চলেছেন বিহারীবাবু শত্রুঘ্ন সিনহা। ইতিমধ্যেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় সঙ্গে আলোচনা এগিয়ে গেছে শত্রুঘ্ন সিনহার। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পশ্চিমবঙ্গ থেকে কার্যত নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছেন মোদি ম্যাজিক। আর এবারের চব্বিশ এর লোকসভা নির্বাচন তার পরবর্তী পাখির চোখ। এই বিষয়টি বেশ ভালোমতো বুঝে গেছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। এই কারণেই, কংগ্রেসের ‘হাত’ ছেড়ে তৃণমূলের জোড়াফুলের দিকে অগ্রসর হয়েছেন বলিউডের বিহারীবাবু। যদিও এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে শত্রুঘ্ন সিনহা এখনও কোনও মন্তব্য করতে চাইছেন না। তিনি জানাচ্ছেন, ” রাজনীতিতে সবকিছুই একটা সম্ভাবনা। তাই কোন কিছু কখনোই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। “
এবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবারে রাজ্য রাজনীতি ছেড়ে জাতীয় রাজনীতির দিকে পা বাড়াতে শুরু করেছেন। তার এই সিদ্ধান্ত সিঁদুরে মেঘ দেখছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এখনো পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়তো জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে ততটা বড় একজন মুখ হয়ে উঠতে পারেননি। কিন্তু যদি তিনি জোট করার প্রচেষ্টা করেন ও বিজেপি বিরোধী সমস্ত দল তার সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়, কংগ্রেসকে নিয়ে, তাহলে কিন্তু বিজেপির একটা বড় অস্বস্তির কারণ হতে পারে। গুজরাট ও উত্তরপ্রদেশের মত কিছু রাজ্যে বিজেপি অত্যন্ত ক্ষমতাশালী, সেখানে হয়তো অন্য দলের পক্ষে জয়লাভ করা খুব একটা সোজা হবে না। কিন্তু মমতা এবং অন্যান্যদের টার্গেট থাকবে ভারতের বাকি রাজ্যগুলি। যেখানে বিজেপি খুব একটা শক্তিশালী নয় সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করবেন। আর সেখানে তাকে সাহায্য করতে পারেন প্রবীণ বলিউড অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা।