খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ তৃতীয়বারের জন্য অর্থমন্ত্রী হতে চাইছেন না তৃণমূলের নেতা অমিত মিত্র। ১০ বছর ধরে তিনি পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রীর পদ নিজের হাতে সামলে এসেছেন। ২০১১ সালের খড়দহ আসন থেকে লড়াই করে জিতে এসে প্রথমবারের জন্য অর্থ মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন অমিত মিত্র। অর্থনীতিতে প্রখর জ্ঞান থাকার কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে নিজের ক্যাবিনেট মন্ত্রী হবার সুযোগ দিয়েছিলেন। দীর্ঘ ১০ বছর একটানা তিনি অর্থমন্ত্রী পদে আসিন।
শরীর প্রথম থেকেই সায় দিচ্ছিলো না। মমতার অনুরোধে ছয় মাসের জন্য অন্তত অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্বে সামলানোর জন্য রাজি হন অমিত মিত্র। গত ৭ জুলাই এবারে বাংলার অর্থ বাজেট পেশ করা হয়েছে। নিজের হাতে বাজেট তৈরি করলেও পেশ করতে পারেননি অমিত মিত্র। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি এখন চিকিৎসাধীন। তাঁর শারীরিক অবস্থা খুব একটা যে ভাল তা নয়, এই কারণে তিনি এবারের রাজনীতি থেকে অবসর নিতে চাইছেন।
অমিতবাবু এবারে ভোটে দাঁড়ানোর জন্য রাজি হননি। কিন্তু ভোটে জয়লাভ না করলেও ছয় মাসের জন্য মন্ত্রী থাকা যায়, তাই তিনি নিজের তৃতীয় ইনিংস শুরু করেছিলেন মোটামুটি ছয় মাসের জন্য। অন্যদিকে তার খড়দহ আসন থেকে জয়লাভ করেছিলেন কাজল সিনহা। কিন্তু করোনা তার প্রাণ কেড়ে নেওয়ার কারণে সেই আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেছিলেন, ওই আসন থেকে জয়লাভ করে অমিত মিত্র আবারো পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলাতে পারবেন। এবারে আর প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে নিমরাজি অমিত মিত্র। অবসর নেওয়ার পরে বিদেশে গিয়ে নিজের মেয়ের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটানোর পরিকল্পনা করেছেন তিনি। সেই কথা নিজেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে জানিয়েছেন। এবার থেকে হয়তো আর আমরা দেখতে পাবো না অমিত মিত্রকে বিধানসভায়।
কে হবে বাংলার পরবর্তী অর্থমন্ত্রী? এই চিন্তাই এখন ভাবাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে। মনে করা হচ্ছে অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্ব তিনি নিজের হাতে রাখতে পারেন। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাগ্য কিন্তু ঝুলে আছে, কারণ যদি করোনা পরিস্থিতিতে উপনির্বাচন না হয় তাহলে কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। ছয় মাসের মধ্যে উপ নির্বাচনে জয়লাভ করতেই হবে। তার মধ্যে আবার এই মুহূর্তে বিধান পরিষদের কাজ যে খুব একটা তাড়াতাড়ি করা সম্ভব সেটাও মনে হচ্ছে না। বর্তমানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে হাতে থাকবে শুধুমাত্র লোয়ার হাউস অর্থাৎ বিধানসভা, যেখানে উপ নির্বাচনের মাধ্যমে জয়লাভ করে আসতেই হবে। তারই মধ্যে অমিত মিত্র আর অর্থমন্ত্রী থাকছেন না। ফলে এই অর্থমন্ত্রক নিয়ে বেশ কিছুটা চাপে পড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই একটি কমিটি গঠন করে এই নিয়ে বৈঠক শুরু হয়ে গিয়েছে।