কোভিড কিচেন, অসহায় মানুষদের জন্য, পেশায় শিক্ষক, দুই অভিন্ন হৃদয় বন্ধু, নিজেদের মাইনের টাকা খরচ করে

Published By: Khabar India Online | Published On:

টুঙ্কা সাহা, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, আসানসোলঃ   ছোটো বেলা থেকেই দুই অভিন্ন হৃদয় বন্ধু, পেশায় শিক্ষক ৷ অসহায় মানুষদের সহায়তায় খুলে ফেলেছেন কোভিড কিচেন ৷ আসানসোলের ইসমাইল অঞ্চলে, গত ২ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে এই কোভিড কিচেন ৷ যেখানে প্রতিদিন গড়ে ৩০-৪০ জন দুঃস্থ অসহায় মানুষের একবেলার অন্ন সংস্থানের ব্যবস্থা করা হয় ৷ প্রায় দেড় বছর বিনা কাজে মাইনে পাচ্ছেন এই দুই শিক্ষক । কিন্তু এই ভাবে মাইনে নেওয়া মন থেকে মেনে নিতে পারছিলেন না তারা ।করোনা আবহে যখন হাজার হাজার মানুষ কর্মহীন হয়েছেন,অনাহারে বহু মানুষ পথে,তখন সেই সব দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কিছু করার উদ্যোগ নিয়েছেন আসানসোলের ইসমাইল ও গড়াই রোডের বাসিন্দা পেশায় দুই শিক্ষক ।আসানসোলের গড়াই রোডের বাসিন্দা জামগ্রাম রাসবিহারী অবৈতনিক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক সোমনাথ চ্যাটার্জী ও ইসমাইলের বাসিন্দা রানিগঞ্জ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পিনাকী রঞ্জন চক্রবর্তী। এনারা একে অপরের বাল্য বন্ধু । করোনা সংক্রমনের পরিস্থিতিতে স্কুল এক প্রকার বন্ধ ৷

আরও পড়ুন -  Trina Saha: যখন ক্লাস ইলেভেন তখন প্রথম প্রেম, কার সাথে সম্পর্কে ছিলেন তৃণা?

ছাত্র ছাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে স্কুলে স্কুলে পঠন-পাঠন বন্ধ রয়েছে ৷ এই পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের এক প্রকার স্কুলে যেতে হয়না ৷ কিন্তু মাস গেলে মাইনে পান ৷ আর এটাই মন থেকে মানতে না পেরে তাদের নিজেদের মাইনের টাকা খরচ করে খুলেছেন পথবাসী দের জন্য রান্নাঘর । প্রতিদিন সকাল থেকে এই দুই বন্ধু নিজেদের হাতে রান্না করতে লেগে পড়েন। পাশাপাশি এই কাজে হাত লাগান পরিবারের অন্য সদস্যরাও । মেনুতে কোনোদিন ডিম ভাত,কোনোদিন মাংস ভাত। বাড়িতে বাড়িতে অথবা দুঃস্থ মানুষদের আস্তানায় খাবার পার্সেল করে পৌঁছে দেন দুই শিক্ষক বন্ধু । মোটর বাইকে করে বেরিয়ে পড়েন আসানসোল শহরের বিভিন্ন প্রান্তে দুঃস্থ অসহায় মানুষদের খাবার বিলি করতে । এই বিষয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সোমনাথ চ্যাটার্জি জানিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত হাজার মানুষের খাওয়ার ব্যবস্থা করতে পেরেছেন ৷

আরও পড়ুন -  পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনে শুরু হয়েছে স্পেশাল চেকিং ব্যবস্থা

প্রথমে দুই বন্ধুর নিজেদের উদ্যোগে এই কোভিড কিচেন খোলা হলেও বর্তমানে বহু স্থানীয় প্রতিবেশী তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন ৷ নিজেদের সাধ্যমত দিয়েছেন আর্থিক অনুদান ৷ আসলে শিক্ষক মানেই সমাজের বন্ধু ৷ সমাজ গড়ার কারিগর ৷ তাই অসময়ে দুর্দিনে সমাজের দুঃস্থ অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষুদ্র প্রয়াস শুরু করা হয়েছে ৷ তবে উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক পিনাকী রঞ্জন জানিয়েছেন , যেদিন তাদের স্কুলে যেতে হয়, সেই দিনগুলিতে তারা স্কুল থেকে ফিরে খাবার তৈরি করে রাতের বেলায় সরবরাহ করেন ৷

আরও পড়ুন -  Fires: আসানসোলের একটি বহুতল আবাসনের 3 তলায় আগুন