সত্যজিৎ চক্রবর্তী, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, দক্ষিণ ২৪ পরগণাঃ সোনারপুর রেল স্টেশনে যাত্রী বিক্ষোভ স্পেশাল ট্রেন সর্ব সাধারণের জন্য চালু করতে হবে এটাই তাদের দাবী। কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তাদের মধ্যে বেশীর ভাগ যাত্রী রোজ কাজ করে যা পায় তাদিয়ে জীবন যাপন করে। অপর দিকে খুচরো ব্যবসায়ীদের, রুজী রোজগার নেই আমাদের পেট চলবে কি করে। করোনার প্রকোপে না খেয়ে প্রাণ যাবার মত অবস্থা। যারা রেল, ব্যাংক, সরকারি কর্মী, সংবাদপত্র ও বিভিন্ন জরুরী কাজের জন্য স্পেশাল মেট্রো, সাধারণ ট্রেন চলছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষরা তো না খেয়ে মরার অবস্থায় এসে পৌঁছেছে। অত্যন্ত জরুরী কাজের সঙ্গে যারা জড়িত তারা কাজ করুক বা না করুক তাদের খুব একটা অসুবিধা হবেনা তারা সরকার তাদের মাহিনা দিয়ে দেবে। মরবো তো আমরা, এখন একটা সরকারি পক্ষ থেকে কোনরকম ট্রেন চালাবার নিদৃষ্ট উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত এই অবরোধ প্রত্যাহার করবো না আমরা। আমরা কোন রাজনৈতিক দলের নয় সকলে সাধারণ খেটে খাওয়া যাত্রীদের কথা।
এইসব মানুষ গিয়ে জড়ো হয়েছেন সোনারপুর স্টেশনে। সেখানে গতকাল থেকেই চলছে বিক্ষোভ। শিয়ালদা ডায়মন্ড হারবার লাইনের ট্রেন যখন সোনারপুর স্টেশনে প্রবেশ করে তখন নিত্যযাত্রীরা সেই ট্রেনে উঠতে চান। কিন্তু তখনই শুরু হয় সমস্যা। ট্রেনের সামনে বসে পড়ে বহু নিত্যযাত্রী বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাদের দাবি, দিদির কাছে একটাই দাবি, চললে সব ট্রেন চলুক, না হলে কোন ট্রেন চলবে না। কিছু মানুষ কাজে যেতে পারছেন আর কিছু পারছেন না। এভাবে কতদিন পেটে ভাত জোগানো যাবে ?
বুধবার সোনারপুর স্টেশনে একই দাবিতে বিক্ষোভ হয়। সেই বিক্ষোভের পুরোধা ছিলেন মহিলারা। তাদের দাবি, “যদি লোকাল ট্রেন চালাতে হয় তাহলে সব ট্রেন চলুক না হলে কোন ট্রেন চালাতে হবে না।” বুধবার প্রায় ঘন্টাখানেক ট্রেন অবরোধ থাকে। তাদের বক্তব্য, যদি কাজে যেতে এত টাকা চলে যায় তাহলে তো বেশিদিন ভাত জোগানো যাবে না। মানুষের নুন আনতে পান্তা ফুরায় যাওয়ার মত অবস্থা। পুলিশ এসেও পরিস্থিতি বদলায় না। তারা পুলিশের সামনে নিজেদের সমস্ত ক্ষোভ উগরে দেন।