খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ অভিনেত্রী-সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর (Mimi Chakraborty) সোশ্যাল মিডিয়ায় জানালেন সেকথা। জানালেন নিদারুণ যন্ত্রণার কাহিনি। না, ভয় পাওয়ার কোনও বিষয় নেই। নিজের নয় অন্যদের যন্ত্রণার কথা বলেছেন তারকা সাংসদ। মানসিক অবসাদ কিংবা দুশ্চিন্তায় যাঁরা ভুগছেন তাঁদের কষ্টের কাহিনি ভিডিওর মাধ্যমে তুলে ধরলেন। মানুষের মন বড্ড জটিল। কী লুকিয়ে থাকে তার ভিতরে বাইরে থেকে দেখে বলা সম্ভব নয়। আধুনিক জীবনের ইঁদুর দৌড়ে সকলকেই সফল হতে হবে। কিন্তু সাফল্যের অস্তিত্ব থাকলে ব্যর্থতাও তো থাকবে, আনন্দ থাকলে তো দুঃখও থাকবে। আবার যে ছেলেটি বা মেয়েটি সবসময় হাসিমুখ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাঁর মনের অন্দরে যে অবসাদের কালো মেঘ নেই তা কে বলতে পারে? তাই অতিমারীর (Pandemic) এই আবহে মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব বোঝালেন মিমি চক্রবর্তী।
মে মাসকে আন্তর্জাতিক মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতার মাস হিসেবে ধরা হয়। সেই উপলক্ষ্যেই বিশেষ এই ভিডিওটি আপলোড করেছেন মিমি। কালো ব্যাকগ্রাউন্ডে সাদা-কালোর আবহে ভিডিওটি শুট করেছেন মিমি। যেখানে তিনি মানসিক অবসাদ এবং দুশ্চিন্তায় ভোগা মানুষদের প্রতিনিধি হয়ে উঠে বলেছেন, “যদি বলি আমি আজ ভাল নেই, যদি বলি বিগত কয়েকদিন ধরেই ভাল নেই আমি, যদি বলে আমি কষ্টে আছি, যদি বলি আমি বিছানা থেকে উঠতেই পারছি না, যদি বলি আমি প্রচণ্ড দুশ্চিন্তায় আছি, তুমি কেয়ার করবে? শুনতে চাইবে আমার কথা?” এরপরই আবার মিমি প্রশ্ন করেছেন, “তুমি থাকবে পাশে? ক্ষণিকের সান্ত্বনা হয়ে উঠতে পারবে? পারবে আমায় শক্তি জোগাবে? নাকি শুধু বলবে এটা একটা সময় যা কেটে যাবে, বলবে সবই আমার মনের বেকার ভাবনা, বলবে আমি বেশি ভাবছি। নাকি আমার পিছনে কথা বলবে? নাকি আমি তোমার সুন্দর সময় নষ্ট করলাম?” সবশেষে নায়িকা বলেন, “এগুলো নিয়ে ভাবুন। আর মনে মধ্যে করুণা রাখুন।”
View this post on Instagram