সত্যজিৎ চক্রবর্তী, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, কলকাতাঃ গত রবিবার, ৯ই মে, আমার মন খুব খারাপ লাগছে, বিশিষ্ট সাংবাদিক কমল ভট্টাচার্য আমাদের ছেড়ে চলে গেল ইহলোক থেকে অজানা জগৎ -এ। এই কয়েকদিন আগেও আমার সঙ্গে অনেক্ষণ ফোনে কথা হল, কর্মজীবন ও বাস্তব জীবন নিয়ে। এই বছর জানুয়ারি মাসে শেষ দেখা হয়েছিল, প্রেস ক্লাব কলকাতায়। ভাবতে কষ্ট হচ্ছে, কমলদা আর নেই। সাংবাদিক জগতে এক অভাবনীয় ক্ষতি হল, এই ক্ষতি পূরণ করা কারোর পক্ষে সম্ভব নয়। আমি যতটা জানি, কমলবাবু সাংবাদিকতা শুরু করেছিলেন, যুগান্তর পত্রিকার উচ্চ পদে অধিকারী হিসাবে। যুগান্তর বন্ধ হয়ে গেলে, তিনি সংবাদ প্রতিদিনে জয়েন করেন। তখন আমি “দ্য স্ট্যাটসম্যান” পত্রিকায় কাজ করতাম ওই সময় থেকে ওনার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়, কমলবাবুর নম্র ব্যবহার ও আন্তরিকতা আমাকে মোহিত করে। এর পর অনেক আলাপ – আলোচনার মধ্য দিয়ে কেটেছে।
বিশেষ করে আমি ২০০৭ সালে অবসর গ্রহণ করি স্ট্যাটসম্যান থেকে। তার পর থেকে আমার সঙ্গে ঘনিষ্টতা অনেক বেড়ে যায় তার কারণ “বাবা লোকনাথ সংবাদ” একটা মাসিকার সহকারী সম্পাদক হিসাবে কাজ শুরু করি। যার জন্য তখন কলকাতা প্রেস ক্লাবে যাওয়া-আসা অনেকটা বেড়ে যায় দুটো দৈনিকের সম্পাদনার কাজে যুক্ত আমি ওই দুটো কাগজে ছবি ও নিউজ দিতাম, কমলদার কাছ থেকে সংবাদিকতার উপর অনেক পদ্ধতি শিক্ষার একটা পার্ট রপ্ত করার সুযোগ পেয়েছিলাম। অপরদিকে তিনি ছিলেন কলকাতা প্রেস ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি, তিনি কিন্তু ছোট কাগজ – বড়ো কাগজ হিসাবে বিচার করতেন না, বিশেষ করে ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ও চিত্রসংবাদিকদের যথেষ্ট স্নেহ করতেন, তাদের দুঃখ দুর্দশা বুঝতেন বলেই তার দ্বারা প্রকাশিত দুটি দৈনিকে স্থান পেত। তার মানবিকতার অনেক পরিচয় পাওয়া গেছে। কমলবাবুর সাংবাদিকতার জীবন এবং আন্তরিকতার উপর লিখতে গেলে একটা পুস্তক হয়ে যাবে।কাজেই তাকে কেন্দ্র করে লেখা এখানে শেষ করলাম। তার কন্ঠ রোধের সঙ্গে, সঙ্গে সব থেমে গেলো। আমি ঈশ্বরের কাছে তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।