খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ রাজভবনে শপথগ্রহণের পরই নবান্নে চলে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে করোনা মোকাবিলায় জরুরি বৈঠকে বসেন আধিকারিকদের সঙ্গে। বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, আগামীকাল থেকে গোটা রাজ্যে লোকাল ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি সরকারি বাস এবং মেট্রো রেল পরিষেবা স্বাভাবিক সময়ের থেকে অর্ধেক হয়ে যাবে বলেও মুখ্যমন্ত্রী জানান।
কলকাতা এবং উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার শহরাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এই দুই জায়গা থেকে রাজ্যের জেলা ও গ্রামাঞ্চলে যাতে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে সেই জন্যই রাজ্য প্রশাসন লোকাল ট্রেন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উল্লেখ্য লোকাল ট্রেনে করে প্রতিদিন জেলা থেকে প্রচুর মানুষ কলকাতা ও শহরতলিতে জীবিকার সন্ধানে আসেন এবং দিনের শেষে তারা ফিরে যান। তাই লোকাল ট্রেন বন্ধ হয়ে গেলে জীবিকার প্রশ্নে সংশয় তৈরি হলেও করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া অনেকটাই রোধ করা যাবে বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অভিমত। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, সমস্ত সরকারি-বেসরকারি অফিস এবং কলকারখানায় প্রতি শিফটে কর্মীসংখ্যার অর্ধেক নিয়ে কাজ করতে হবে। কঠোরভাবে এই বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান। এর পাশাপাশি বাজার খোলা থাকার সময় কিছুটা পরিবর্তন করেছেন তিনি। এবার থেকে সকাল ৭-১০ টা এবং দুপুরের পরিবর্তে বিকেল ৫ টা থেকে সন্ধ্যে ৭ টা পর্যন্ত প্রতিটি বাজার খোলা থাকবে। সোনার দোকান দুপুর ১২ টা থেকে ৩ টে পর্যন্ত খোলা থাকবে। ব্যাঙ্কের সময়ের ওপরেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টো পর্যন্ত ব্যাঙ্কিং পরিষেবার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে রাজ্য সরকার।
সাংবাদিক সম্মেলনে পরিষ্কার জানিয়েছেন, সরকার অনলাইন ডেলিভারিতে উৎসাহ প্রদান করবে। মুখ্যমন্ত্রীর পরিষ্কার নির্দেশ যে কোনো জায়গায় ৫০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না এবং জমায়েত করতে হলেও প্রশাসনের কাছ থেকে আগাম অনুমতি নিতে হবে। অর্থাৎ বিয়ে বাড়ি বা অন্য কোনও অনুষ্ঠান করতে হলে সরকারি অনুমতি বাধ্যতামূলক হয়ে গেল। পাশাপাশি এর আগের নিষেধাজ্ঞা মত সিনেমা এবং নাটকের হল, ক্রীড়া সংস্থা, ক্লাব, জিম, পার্লার, পানশালা, ক্রীড়া সংস্থা ও ক্লাব বন্ধ থাকছে।