খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ দেশে অক্সিজেন ট্যাঙ্কারের ঘাটতি মেটাতে কেন্দ্রীয় সরকার ১০ এমটি ও ২০ এমটি ক্ষমতা সম্পন্ন ২০টি ক্রায়োজেনিক ট্যাঙ্কার আমদানি করেছে এবং তা রাজ্যগুলিকে বরাদ্দ করা হয়েছে। উৎপাদন কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন রাজ্যে তরলীকৃত চিকিৎসা অক্সিজেন (এলএমও) পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে এবং ক্রায়োজেনিক ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে চিকিৎসা অক্সিজেন পরিবহণে দেশের পূর্ব অংশ থেকে অন্যান্য অংশে তরলীকৃত চিকিৎসা অক্সিজেন সরবরাহ করার ক্ষেত্রে একটি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ২০এমটি ও ১০এমটি ক্ষমতা সম্পন্ন ২০টি ক্রায়োজেনিক আইএসও কন্টেনার আমদানি করা হয়েছে, যাতে অক্সিজেন পরিবহণের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাই।
ক্ষমতাপ্রাপ্ত গোষ্ঠী-২ এর সার্বিক নির্দেশিকার আওতায় শিল্প ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ক্ষেত্রে উৎসাহদানের জন্য দপ্তরের সঙ্গে পরামর্শ চালিয়ে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রক সংশ্লিষ্ট বরাদ্দকৃত রাজ্যগুলিতে অক্সিজেন কন্টেনার সরবরাহের বিষয়ে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
দেশে এ পর্যন্ত ১৪.৫ কোটিরও বেশি কোভিড-১৯ টিকার ডোজ প্রদান করা হয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণের অঙ্গ হিসেবে এই টিকা প্রদান করা হয়েছে।
আজ সকাল ৭টা পর্যন্ত ২০ লক্ষ ৭৪ হাজার ৭২১টি টিকাকরণ পর্বের মাধ্যমে মোট ১৪ কোটি ৫২ লক্ষ ৭১ হাজার ১৮৬টি টিকার ডোজ প্রদান করা হয়েছে। এরমধ্যে ৯৩ লক্ষ ২৪ হাজার ৭৭০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রথম ডোজ এবং ৬০ লক্ষ ৬০ হাজার ৭১৮ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। এমনকি ১ কোটি ২১ লক্ষ ১০ হাজার ২৯৮ জন প্রথম সারির কর্মীকে প্রথম ডোজ, ৬৪ লক্ষ ২৫ হাজার ৯৯২ জন প্রথম সারির কর্মীকে দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি ৬০ বছরের বেশি বয়সী ৫ কোটি ৫ লক্ষ ৭৭ হাজার ৭৪৩ জন সুবিধাভোগীকে প্রথম ডোজ এবং ৮৭ লক্ষ ৩১ হাজার ৯১ জন সুবিধাভোগীকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। ৪৫-৬০ বছর বয়সী ৪ কোটি ৯৩ লক্ষ ৪৮ হাজার ২৩৮ জন সুবিধাভোগীকে প্রথম ডোজ এবং ২৬ লক্ষ ৯২ হাজার ৩৭৬ জন সুবিধাভোগীকে দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করা হয়েছে।
১০টি রাজ্যে টিকা প্রদানের হার ৬৭.৩ শতাংশ।
গত ২৩ ঘণ্টায় ৩১ লক্ষেরও বেশি টিকার ডোজ প্রদান করা হয়েছে।
টিকাকরণ অভিযানের ১০১তম দিনে ৩১ লক্ষ ৭৪ হাজার ৬৮৮টি টিকার ডোজ প্রদান করা হয়েছে। এরমধ্যে ২২ হাজার ৭৯৭টি টিকাকরণ পর্বের মাধ্যমে ১৯ লক্ষ ৭৩ হাজার ৭৭৮ জন সুবিধাভোগীকে প্রথম ডোজ এবং ১২ লক্ষ ৯১০ জন সুবিধাভোগীকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে।
দেশে এ পর্যন্ত করোনা থেকে আরোগ্য লাভ করেছেন ১ কোটি ৪৫ লক্ষ ৫৬ হাজার ২০৯ জন। জাতীয় সুস্থতার হার ৮২.৫৪ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২ লক্ষ ৫১ হাজার ৮২৭ জন আরোগ্য লাভ করেছেন।
১০টি রাজ্যে আরোগ্যের হার ৭৯.৭০ শতাংশ।
গত ২৪ ঘন্টায় ৩ লক্ষ ২৩ হাজার ১৪৪ জন নতুন করে করোনাক্রান্ত হয়েছেন।
মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লী, কর্ণাটক, কেরালা, ছত্তিশগড় পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, গুজরাট এবং রাজস্থান এই ১০টি রাজ্যে সংক্রমণের হার ৭১.৬৮ শতাংশ।
মহারাষ্ট্রে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ হাজার ৭০০ জন। উত্তরপ্রদেশে ৩৩ হাজার ৫৩১ এবং কর্ণাটকে ২৯ হাজার ৭৪৪ জন একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন।
এ পর্যন্ত দেশে ২৮ কোটিরও বেশি করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
ভারতে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২৮ লক্ষ ৮২ হাজার ২০৪-এ পৌঁছছে।
মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, গুজরাট এবং কেরালা- এই ৮টি রাজ্যে মোট সংক্রমণ হার ভারতের মোট সংক্রমণ হারের ৬৯.১ শতাংশ।
দেশে সক্রিয় রোগীর হার ১৬.৪৩ শতাংশ। এখন দৈনিক সংক্রমণ হার দাঁড়িয়েছে ২০.০২ শতাংশে। জাতীয় মৃত্যুর হার বর্তমানে ১.১২ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৭৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে মহারাষ্ট্রে ৫২৪ এবং দিল্লীতে ৩৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দমন ও দিউ, দাদরা ও নগর হাভেলী, লাদাখ, ত্রিপুরা, লাক্ষ্মাদ্বীপ, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, অরুণাচলপ্রদেশ, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ- এই ৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়ে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। সূত্র – পিআইবি / ফাইল ছবি।