টুঙ্কা সাহা, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, আসানসোলঃ রাস্তার ওপরেই যমদূত! মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন নিয়ে যাওয়ার গাড়িগুলিকে অহেতুক কারণে দাড় করিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার কাজ করছে। অক্সিজেন নিয়ে যাওয়ার গাড়ি চালকেরা এই গুরুতর অভিযোগ তুলেছে। চিকিৎসা সংক্রান্ত পরিষেবার সাথে যুক্ত থাকার পরেও টোলপ্লাজা বা পুলিশের পক্ষ থেকে অহেতুক গাড়গুলিকে ২ – ৩ ঘন্টা দাড় করিয়ে দিচ্ছে। পুলিশ বা টোল প্লাজার পক্ষ থেকে বলেছে, যে মরছে, মরতে দাও, গাড়ি সাইডে লাগাও বলে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলছেন চালকেরা। দেশ জুড়ে বেড়ে চলেছে জীবনদায়ী অক্মিজেনের অভাব।
আর সেই অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণের জন্যে আসানসোলের বার্নপুর আইএসপি সেলের প্লান্ট থেকে অক্সিজেন সরবরাহকারি দুটি গাড়ি রবিবার আসামের গৌহাটি মেডিক্যাল কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিন্তু গাড়ির চালকেরা টোলপ্লাজা সহ রাস্তায় থাকা পুলিশের ওপর অভিযোগ করে বলে, দেশে দ্রুত হারে বেড়ে চলা করোনা সংক্রমণের কারণে পরিস্থিতি সঙ্কটময় আকার ধারণ করছে। হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেনের অভাবে সংক্রামিত রোগীরা মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছে।
সেই সময় হাসপাতালগুলির অক্সিজেনের অভাব দূর করতে, সক্রিয় অক্সিজেন বহনকারি গাড়িগুলিকে রাস্তায় বাংলার পুলিশ অকারণে আটকে চালকদের নাজেহাল করছে। যা অনেকটাই এই পরিস্থিতিতে যমদূতের মত আচরণ বলে অভিমত প্রকাশ করেছে চালকেরা। চালকেরা জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে অক্সিজেন সহ গাড়িগুলি গন্তব্যে পৌঁছাতে যেখানে তিনদিন লাগার কথা, তার সময়সীমা পেরিয়ে ৬ দিন দাড়িয়ে যাচ্ছে। এর ফলে আরো বহু মানুষ মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছে। পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতারাই যেখানে পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও প্রতি অভিযোগ করে চলেছে। অথচ তারা দেশের পরিচালন পদ্ধতি শোধরানোর চেষ্টা করছে না। আসামে যেখানে তাদের যাতায়াত টোল ফ্রি করা হচ্ছে, সেখানে তাদের পশ্চিমবঙ্গে ফাস্ট ট্র্যাকের অনুমদোনও বাতিল করা হচ্ছে। তাই পরিচালন পদ্ধতি শোধরানোর দাবি তুলেছে চালকেরা।