সারা দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে, শচীন তেন্ডুলকার জন্মদিন পালন করলেন না

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ   গত বছরের জন্মদিন উৎসবহীন রেখেছিলেন। এবারেও সারা দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। তার মাঝেই ৪৮ বছরে পা দিলেন শচীন রমেশ তেন্ডুলকার।
গতবছর এপ্রিলের আগেই গোটা বিশ্বে থাবা বসিয়েছিল করোনা। ভারতেও পরিস্থিতি সঙ্গিন হয়ে উঠেছিল। সেই পরিস্থিতিতে করোনাযোদ্ধাদের সম্মান জানাতে জন্মদিন পালন না করার সিদ্ধান্ত নেন শচীন। এবারের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। দিন কয়েক আগে ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’ নিজেও আক্রান্ত হয়েছিলেন এই মারণ রোগে। তাই এবারেও নিজের জন্মদিন তিনি উৎসর্গ করেছেন করোনা যোদ্ধাদের জন্য। তবে, শচীন নিজে জন্মদিন সেলিব্রেট না করলেও শুভেচ্ছাবার্তার কোনও কমতি নেই। মাস্টার ব্লাস্টারের জন্মদিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যাতে দেখা যাচ্ছে যুবরাজ সিং থেকে শুরু করে সুনীল গাভাসকার পর্যন্ত বহু তারকা তাঁর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করছেন। অনেকেই ভিডিওটি শেয়ার করে বলছেন, শচীনকে কেন ক্রিকেট ঈশ্বর বলা হয়, এটা তার প্রমাণ।

আরও পড়ুন -  Pakistan Floods: বন্যায় মৃত্যু প্রায় ১৫০০, পাকিস্তানে

ক্রিকেট বিশ্বও শচীনের জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছাবার্তায় ভরিয়ে দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই টুইটারে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, বিরাট কোহলি, যুবরাজ সিং, সুরেশ রায়না, দীনেশ কার্তিক, প্রজ্ঞান ওঝা, ইশান্ত শর্মা, ক্রিস গেইল, রবি শাস্ত্রীরা। আইসিসি এবং বিসিসিআইয়ের তরফেও শচীনের সাফল্যগাথা তুলে ধরে তাঁকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের তরফেও শচীনকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন -  Arjun Tendulkar: অর্জুনের সেঞ্চুরি দেখে আবেগাপ্লুত সারা টেন্ডুলকার, অভিষেক ম্যাচ, লিখলেন ইনস্টাগ্রামে

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে বোঝাতে চাইলেন, দেশের এমন সঙ্কটের দিনে প্রত্যেককেই এগিয়ে আসতে হবে। একে অন্যের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে, তবেই এই মারণ রোগ থেকে মুক্তির পথ প্রশস্ত হবে। ক্রিকেট ঈশ্বর ভিডিওতে বলেন, ‘‌আপনাদের শুভকামনা আর আশীর্বাদে আমি সুস্থ হয়ে উঠেছি। বন্ধুবান্ধব, পরিবার–প্রত্যেককে পাশে পেয়েছি। সর্বোপরি চিকিৎসকরা দারুণভাবে পরিষেবা দিয়েছেন। তাঁদের তরফে আপনাদের জন্য একটা বার্তা রয়েছে। গতবছর আমি একটি প্লাজমা সেন্টারের উদ্বোধন করেছিলাম। যাঁরা একবার কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁরা রক্ত দিয়ে অন্য কোভিড রোগীদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। আমিও আমার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করি। তাঁরা জানান, আমি প্লাজমা দিতে পারি। তাই আমি প্লাজমা দিতে চলেছি। আপনাদের বলব, রক্ত দিন। এতে অন্যদের অনেকখানি সুবিধা হবে।’‌

আরও পড়ুন -  আগামী ১৫ দিনের জন্য বন্ধ করল প্রশাসন, মালদহ পরিবহণ দফতরের কাজকর্ম