খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ
শ্রী সুশীল চন্দ্র আজ ভারতের ২৪তম মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।তিনি শ্রী সুনীল অরোরার স্থলাভিষিক্ত হলেন। শ্রী অরোরার কার্যকালের মেয়াদ গতকালই শেষ হয়েছে।
শ্রী চন্দ্র ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে নির্বাচন কমিশনার হিসাবে দায়িত্বপালন করে আসছিলেন। কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরে সীমানা পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত কাজের দায়িত্বের পাশাপাশি, ২০২০-র ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি সীমানা পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিশনের সদস্য হিসাবে কাজ করছেন। আয়কর বিভাগে সুদীর্ঘ ৩৯ বছর বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি, শ্রী চন্দ্র ২০১৬ সালের পয়লা নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ (সিবিডিটি)-এর চেয়ারম্যান পদে আসীন ছিলেন। পর্ষদের চেয়ারম্যান থাকাকালীন শ্রী চন্দ্র বিধানসভা নির্বাচনগুলিতে অবৈধভাবে অর্থের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৮ সালে তিনি নির্বাচন প্রার্থীদের হলফনামায় উল্লেখ না থাকা সম্পদের বিস্তারিত বিবরণ জনসমক্ষে প্রকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ২০১৯ সালে সপ্তদশ লোকসভা এবং একাধিক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে তথ্য প্রযুক্তির অভিনব প্রয়োগের ক্ষেত্রে তাঁর বড় অবদান রয়েছে।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বিহার, আসাম, কেরল, পন্ডিচেরী, তামিলনাডু ও পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন আয়োজনে মনোনয়নপত্র দাখিল থেকে শুরু করে অনলাইনে প্রার্থীপদ দাখিল, পোস্টাল ব্যালটের সুবিধা প্রভৃতি ক্ষেত্রে শ্রী চন্দ্র বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও লৌহকঠিন মানসিকতা নিয়ে কাজ করেছেন।
এদিকে বিদায়ী মুখ্য নির্বাচন কমিশনার শ্রী সুনীল অরোরাকে কমিশনের পক্ষ থেকে ঊষ্ণ বিদায়ী অভ্যর্থনা জানানো হয়। শ্রী অরোরা গতকাল মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। নির্বাচন কমিশনে প্রায় ৪৩ মাস দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সঙ্গে শ্রী অরোরা ২৯ মাস মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে আসীন ছিলেন। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে নির্বাচন কমিশনে দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০১৯ সালের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন এবং ২৫টি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন আয়োজনে তাঁর বড় ভূমিকা ছিল। বিদায়ী ভাষণে শ্রী অরোরা কমিশনের সকল সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে সাফল্যের সঙ্গে ভবিষ্যৎ নির্বাচনগুলি আয়োজনের শুভেচ্ছা জানান। সূত্র – পিআইবি।