জঙ্গলমহলের লক্ষীসাগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিনা চিকিৎসায় এক যুবকের মৃত্যু

Published By: Khabar India Online | Published On:

সৌমী মণ্ডল, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, বাঁকুড়াঃ   জঙ্গলমহলের লক্ষীসাগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিনা চিকিৎসায় এক যুবকের ( শরৎ মণ্ডল (২৫) মৃত্যুর অভিযোগ তুলে পথ অবরোধে সামিল হলেন উত্তেজিত জনতা। বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের লক্ষীসাগরের ঘটনা। যদিও স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে বিনাচিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রের খবর, সোমবার সকালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় স্থানীয় বনসারেঙ্গা গ্রামের শরৎ মণ্ডল (২৫) কে লক্ষীসাগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসা শুরু হওয়ার আগেই সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এই খবর পেয়ে বনসারেঙ্গা গ্রামের মানুষ জন লক্ষীসাগর সেন্টার মোড়ে এসে সিমলাপাল-খাতড়া রাস্তার উপর টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করেন। তাদের অভিযোগ, গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঐ যুবককে হাসপাতালে নিয়ে এলেও কোন চিকিৎসাই করা হয়নি। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে উপস্থিত থাকা নার্সরা তাদের দায় এড়িয়ে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন মৃতের ভাই গৌতম মণ্ডল, তিনি বলেন আমাদের কোনরকম অনুরোধেই কাজ হয়নি।

আরও পড়ুন -  আবহাওয়া প্রেস মিট, আলিপুর আবহাওয়া অধিদপ্তর কি জানালেন?

অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন সিমলাপাল থানা পুলিশ প্রশাসন প্রশাসনিক আধিকারিক বৃন্দ এছাড়া সিমলাপাল পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ কাঞ্চন পাল সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের আধিকারিক বৃন্দ। এছাড়া বিজেপি নেতা ও তালডাংরা বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি দলের প্রার্থী শ্যামল সরকার। তিনি দাবি করে বলেন শুধু লক্ষীসাগর নয় সারা রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে তা না হলে মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে চোট লাগল নন্দীগ্রামে আর তার চিকিৎসা করাতে ছুটতে হলো কলকাতায় ভাবতে পারছেন স্বাস্থ্যব্যবস্থা কতটা উন্নতি হয়েছে। আমাদের দাবি শুধু সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল করলেই হবেনা তার উপযুক্ত ডাক্তার, নার্স ও সরঞ্জাম ও চিকিৎসা পরিষেবা ঠিকঠাক থাকা প্রয়োজন। আমরা চাই সমস্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সব সময়ের জন্য চিকিৎসক ও নার্স থাকুক গরিব মানুষ জনতা যেন চিকিৎসা পরি সেবা থেকে বঞ্চিত না হন।

আরও পড়ুন -  Bangladesh: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা বাংলাদেশের, দলে নেই রিয়াদ

মৃতের স্ত্রী রিম্পা মণ্ডল বলেন, সকালে প্রাতঃকৃত্য সেরে আসার পর তার স্বামী শরৎ মণ্ডল অসুস্থ হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে এলেও করোনার অজুহাতে চিকিৎসা তো দূরঅস্ত মূল দরজাই খোলা হয়নি। ফলে সম্পূর্ণ বিনা চিকিৎসায় তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে।

মৃতের ভাই গৌতম মণ্ডলের দাবি করে বলেন হাসপাতালে কর্তব্যরত দিদিমনিরা প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন। তাদের হাজারবার কাকুতিমিনতি করলেও কোন চিকিৎসা হয়নি সিমলাপালের বিএমওএইচ রামাশিস টুডু মৃতের পরিবারের দাবি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই শরৎ বাবুর মৃত্যু হয়েছিল তাঁর দাবি, তিনি তদন্ত করে দেখেছেন হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই ঐ যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এই মুহূর্তে ঐ হাসপাতালের চিকিৎসক ছুটিতে আছেন ও কর্তব্যরত নার্সরা সিমলাপাল ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার কথা বললেও পরিবারের লোকজন সেকথা শোনেননি পরে সিমলাপালের বিডিও, আই.সি সহ স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে আসেন। তাদের অনুরোধে ও ও শরৎ বাবুর মৃত্যুর সঠিক তদন্ত ও হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা উন্নতির আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়। পুলিশের পক্ষ থেকে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন -  VIDEO: দুর্দান্ত নাচ ‘দিলবার’, দেশি ভাবীর, পিছনে ফেলবে নোরা ফাতেহিকে, তুমুল ভাইরাল নাচের ভিডিও