খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ
‘উগাদি, গূড়ী পড়বা, চৈত্র শুল্কাদি, চেটি চাঁদ, বৈশাখী, বিশু, পুথান্ডু, বৈশখাদি এবং বোহাগ বিহু’র প্রাক্কালে উপ-রাষ্ট্রপতি জাতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
উপ-রাষ্ট্রপতির ভাষণ :
“আমি ‘উগাদি, গূড়ী পড়বা, চৈত্র শুল্কাদি, চেটি চাঁদ, বৈশাখী, বিশু, পুথান্ডু, বৈশখাদি এবং বোহাগ বিহু’ উপলক্ষে দেশের প্রতিটি নাগরিককে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই।
এই উৎসব চিরায়ত নববর্ষের শুভারম্ভে উদযাপিত হয় যা আমাদের দেশের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি ও সমৃদ্ধশালী ঐতিহ্যের প্রতিফলন। অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানার জনসাধারণ একে ‘উগাদি’ বলে, কর্ণাটকে এই উৎসবকে ‘যুগাদি’ বলা হয়। মহারাষ্ট্রে ‘গূড়ী পড়বা’, আবার তামিলনাড়ুতে ‘পুথান্ডু’ হিসেবে এই উৎসব পালন করা হয়। কেরলে আমাদের মালয়ালি বোন ও ভাইরা একে ‘বিশু’ আর পাঞ্জাবে একেই ‘বৈশাখী’ হিসেবে পালন করা হয়। ওড়িশায় ‘পণা সংক্রান্তি’ হিসেবে এই উৎসব পালন করা হয়। পশ্চিমবঙ্গে ‘পয়লা বৈশাখ’ আর আসামে ‘বোহাগ বিহু’ নববর্ষের আগমনের প্রতীক। এই উৎসবের আয়োজন আলাদা আলাদা নামে পরিচিত। কিন্তু উচ্ছ্বাস, আনন্দ, আশার ভাবনায় পরিপূর্ণ এই উৎসবের বাতাবরণ সারা দেশে একইভাব অনুভূত হয়।
আমাদের ধর্মগ্রন্থ আর শাস্ত্রে অনেক ঘটনার উল্লেখ করা আছে যেখানে প্রকৃতির প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা প্রতিফলিত হয়। আমাদের দেশের ফসল কাটার উৎসব প্রকৃতির প্রাচুর্য্য এবং প্রাণবন্ততায় পরিপূর্ণ।
আমাদের দেশে উৎসব সর্বদাই পরিবার-পরিজন ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে পালন করা হয়। কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারীর ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমি দেশবাসীর কাছে আবেদন রাখছি আপনারা কোভিড সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে উৎসব পালন করুন।
আমি প্রার্থনা করি, এই উৎসবগুলি দেশে শান্তি, সৌহার্দ্য, সমৃদ্ধি ও সুখ নিয়ে আসুক। সূত্র – পিআইবি।