চন্ডিতলা বিধানসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ড ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্ধির মধ্যে লড়াই

Published By: Khabar India Online | Published On:

সত্যজিৎ চক্রবর্তী, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, হুগলীঃ    চন্ডিতলা বিধানসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সর্বস্তরে নজর দিলে এটাই লক্ষ করা গেল এখানে ত্রিমুখী লড়াই জমে উঠেছে। প্রচার ওদেওয়াল লিখনে কেউ কম যায় না তার প্রমাণ পাওয়া গেল দোলের দিনে। ডানকুনি আবাসনে ঢুকলে তার চাক্ষুস প্রমাণ মিলল। ডানকুনি আবাসনে বর্তমান যা অবস্থা তিন দলই যুদ্ধঙ্গদেহী মনোভাব।

বিগত ছ’বছর আগে ছিলো বাম আমলে সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি। পঞ্চায়েত রাজে সিপিএমের শক্ত ঘাঁটিইতে আঘাত করলো আবাসনের ডি-ব্লকের জয়শ্রী সিনহা ও তার কয়েকজনসহ কর্মী, তার সঙ্গে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়, লড়াকু আর একজন মহিলা কর্মী মমতা মুখার্জী। পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে এলো। ছ’ মাস পরে ডানকুনি মিউনিপ্যালিটিতে উন্নত হলো। সেই সুবাদে মিউনিসিপ্যালিটির নির্বাচনে পরাজিত হয় ক্ষমতায় আসে তৃণমূল, আবাসনের এক আবাসিক দেবাশীষ মুখার্জি উপ চেয়ারম্যান পদে আসীন হয়। এটা নিয়ে একটা ইতিহাস আছে তা সময় বলবে। বিধানসভার নির্বাচনে ভোটার কে কি করেছে, সে বিচারে আপাতত যাবো না।

আরও পড়ুন -  মণ্ডপ ও প্রতিমা, চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী

বর্তমান পরিস্থিতি উপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদন। এবারে আসা যাক কেন এই ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্ধি। এক নম্বর প্রাক্তন বিধায়ক স্বাতী খন্দকার তার বিরুদ্ধে সিপিএম হেভিওয়েট প্রাথী দিলেন মহ. সেলিমকে। অপর দিকে বিজেপি’র তেমন ফ্যাক্টর ছিলোনা। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে তাদের প্রার্থী জোশ দাশগুপ্ত একটা প্রতিদ্বন্ধি সামনে আনতে চাইছে। তৃণমূলে থেকে দেবাশীষবাবু চাহিদা মত সুযোগ সুবিধা পায়নি সে কারণে, এখন দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে কারণ তিনি বুজে নিয়েছে বর্তমানে ১০ নম্বর ওয়ার্ড মহিলাদের সংরক্ষিত সিট হয়ে গেছে। কিন্তু অতি চেষ্টা করে পুরুষদের করা সম্ভব হলো না। সে কারণে নানা অজুহাত দেখিয়ে বিজেপিতে যোগ দেয়, যদি সেখানে গিয়ে এই নির্বাচনে বৈতরণী পার করার পর আবার যদি কোন নতুন সুযোগ বিজেপির কাছ থেকে আদায় করা যায়।

আরও পড়ুন -  Forest Department: বন দপ্তরের বিশেষ অভিযানে, উদ্ধার বহু মূল্যের হাতির দাঁতের সামগ্রী

এবারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সারাবাংলা এক ভাঙ্গা পায়ে চষে বেড়াচ্ছে এ প্রান্ত থেকে ওপর প্রান্তে। জানা গেল মুখ্যমন্ত্রী আগামী কয়েকদিনের মধ্যে হুগলী জেলার জাঙ্গিপাড়ায় সভা করবে। এর থেকে বোঝা যায় হুগলী জেলার সিটগুলি কত গুরুত্ব পূর্ণ।

আরও পড়ুন -  ৪২ দিন ছুটি এক সাথে পাওয়া যাবে, সুখবর কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য, নতুন পলিসি সরকারের