খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ বাঁশের চাহিদা ও চাষ বাড়াতে আরও বৈচিত্র্য আনার আহ্বান জানালেন গড়করি।
কেন্দ্রীয় অতিক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রী শ্রী নীতিন গড়করি আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাঁশ সংক্রান্ত প্রযুক্তি, বাঁশজাত সামগ্রী ও পরিষেবা সম্পর্কিত এক ভার্চ্যুয়াল প্রদর্শনীতে ভাষণ দেন। ইন্ডিয়ান ফেডারেশন অফ গ্রিন এনার্জি (আইএফজিই) প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এই প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়েছে।
এই উপলক্ষে শ্রী গড়করি বলেন, বাঁশের চাহিদা আরও বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কয়লার বিকল্প হিসাবে বাঁশের বিপুল সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্মাণ শিল্পেও ঘাস প্রজাতির এই বৃক্ষটিকে ব্যবহার করা সম্ভব। তিনি বলেন, জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষ শীঘ্রই পাট ও কয়্যার সামগ্রীর ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে চলেছে। সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সমবেত প্রয়াসে দেশে বাঁশ শিল্পের বাজার ২৫-৩০ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। বাঁশের চাহিদা আরও বাড়াতে প্রযুক্তি প্রয়োগের পাশাপাশি, স্বল্প ব্যয়ে বৈচিত্র্য সমৃদ্ধ সামগ্রী উৎপাদনের ওপরও তিনি জোর দেন। তিনি বলেন, বাঁশের ব্যবহার বাড়ানোর পাশাপাশি, চাষের পরিধি বাড়াতেও উৎসাহিত করতে হবে। বাঁশ শিল্পের প্রসারে মন্ত্রকের পক্ষ থেকে গৃহীত প্রকল্পগুলির মাধ্যমে সবরকম সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি। শ্রী গড়করি বলেন, বাঁশজাত সামগ্রী উৎপাদনে আরও বৈচিত্র্য আনতে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। একইসঙ্গে, উৎপাদিত সামগ্রী বিপণনের জন্য অনুকূল বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলাও আবশ্যক। বাঁশ ও বাঁশের অন্যান্য উপাদানের ক্ষেত্রে রেলের কাছ থেকে ৫০ শতাংশ ভর্তুকি আদায়ের চেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানান। জৈব সিএনজি এবং চারকোল উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাঁশকে কাজে লাগানো যেতে পারে বলে উল্লেখ করে শ্রী গড়করি বলেন, ব্যাম্বু মিশনের বিশেষ অনুদান কাজে লাগিয়ে আইআইটি-গুলি এই সমস্ত ক্ষেত্রে আরও গবেষণা চালাতে পারে। সূত্র – পিআইবি।