খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ
রাজ্যসভার চেয়ারম্যান শ্রী এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু আজ উচ্চকক্ষের নব নির্বাচিত সদস্যদের সংসদের কাজকর্ম পরিচালনার ক্ষেত্রে ১২টি পরামর্শ দিয়েছেন। এর ফলে সাংসদরা যথাযথভাবে জাতির জন্য কাজ করতে পারবেন। সংসদের ভিতরে এবং বাইরে সদস্যদের আচরণ কি রকম হওয়া উচিত সে বিষয়ে শ্রী নাইডু তাঁদের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি রাজ্যসভায় নব নির্বাচিত সদস্যদের দু-দিনের ওরিয়েনটেশন প্রোগ্রামের উদ্বোধন করে বলেন, সরকারের সমালোচনা অবশ্যই করতে হবে কিন্তু সমালোচনা করার সময় শুধু সেটি সদনের কার্যক্রমে নথিভুক্ত করার উদ্দেশ্য নিয়ে করলে চলবে না। সমালোচনার সময় বিশ্বাসযোগ্য ও যথাযথ তথ্য বক্তব্যের মধ্যে থাকতে হবে। ‘বিরোধীদের সরকারের সমালোচনা করার অধিকার রয়েছে, যা আসলে তাদের কর্তব্য। কিন্তু সমালোচনা তথ্যবহুল হওয়া প্রয়োজন যাতে সেটি বিশ্বাসযোগ্য হয়। সদনের কার্যক্রমে নথিভুক্তিকরণের জন্য নিছক বিরোধীতা করলে সেক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হয়। সমালোচনার মান বজায় না থাকলে সংবাদ মাধ্যম এবং জনসাধারণের কাছে সেটি গ্রহণযোগ্য হয়না।’
সদস্যদের রাষ্ট্রের অবস্থা সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে হবে যাতে যেকোন পরিবর্তনে ভূমিকা রাখা যায়। দেশের উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করলে , সীমান্তের অন্য প্রান্তে থাকা শত্রুপক্ষের কাছে বিষয়টি উৎসাহজনক হয়ে দাঁড়ায়। দেশের ভুল সমালোচনা করলে অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে যা আমাদের গণতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকারক। এরফলে অর্থনৈতিক বিধিনিষেধ আরোপিত হতে পারে। তাই সদস্যদের উচিত অসত্য সমালোচনা কেউ করার চেষ্টা করলে তাকে প্রতিহত করা। শ্রী নাইডু সদস্যদের জানান, দেশের সংহতি ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা তাঁদের একমাত্র কর্তব্য।
তিনি বলেছেন, সদস্যরা কতক্ষণ ধরে বললেন সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়, কি বললেন সেটি গুরুত্বপূর্ণ। অস্পষ্ট বক্তব্য, সভার কাজে বার বার বাধা দেওয়া অর্নথক। সভার কাজ যথাযথভাবে পরিচালনার জন্য নির্দিষ্ট এবং নতুন তথ্য দেওয়া প্রয়োজন। চেয়ারম্যানের কথা না শুনলে সংসদকে অবমাননা করা হয় বলে শ্রী নাইডু মন্তব্য করেছেন। তিনি যোগ্য সাংসদ হওয়ার জন্য নতুন সদস্যদের ১২টি পরামর্শ দিয়েছেন। এগুলি হল :
১) সংবিধানের দর্শন ও বিভাগ সম্পর্ক সম্যক ধারণা
২) রাজ্যসভার ভূমিকা ও কাজের ধারা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা
৩) সংসদের নিয়মাবলী সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা
৪) সংসদে নিয়মাবলীকে যথাযথভাবে শ্রদ্ধা করা
৫) কোনো আইন তৈরি করতে হলে সেটি কিভাবে করতে হয় সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা
৬) দেশের অবস্থা সম্পর্কে ধারণা
৭) বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে গভীরভাবে জানা
৮) কোনো আলোচনা বা সংসদে কোনো বিষয় উপস্থাপনার ক্ষেত্রে যথাযথভাবে পদ্ধতি মেনে চলা
৯) সংসদের কাজে বাধা দেওয়ার কারণে সমালোচনা করলে চলবে না, তথ্য বহুল সমালোচনা করতে হবে
১০) সদস্যদের অধিকার এবং বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে জানতে হবে
১১) প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়ে দক্ষ হতে হবে
১২) সর্বপরি উচ্চকক্ষের চেয়ারম্যানকে শ্রদ্ধা করতে হবে। সূত্র – পিআইবি।