খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ ব্রিগেডের মাঠ থেকেই বাংলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপ শুরু হল বলেন নরেন্দ্র মোদী।
বিজেপির আদর্শ শ্যামাপ্রসাদ। ডিএনএ–তেই রয়েছে বাংলা। এবার আপনারাই বলুন, কারা বহিরাগত
রাবণ–দৈত্য, কত কী বলেছে আমার নামে! কিন্তু তাও বাংলায় পদ্ম ফুটছে। আপনি লুঠতরাজকে প্রশ্রয় দিয়েছেন। বিভাজনের রাজনীতি করেছেন আপনি দিদি। উনি স্কুটি চালাতে গিয়ে যদি আঘাত পেতেন, তা হলে যে রাজ্যে স্কুটি তৈরি হয়েছে, সেই রাজ্যকেই শত্রু বানিয়ে ফেলতেন। ভবানীপুর যেতে যেতে নন্দীগ্রামের দিকে ঘুরে গেছে স্কুটি। আমি চাই না, আপনি আঘাত পান, কিন্তু যখন নন্দীগ্রামেই যাচ্ছেন, আমি কী করতে পারি!
বাংলার মানুষ আপনাকে দিদি বলেছেন। আর আপনি শুধু নিজের ভাইপোর পিসি হয়ে রয়ে গেলেন।
আর নয় অন্যায়। দুর্নীতি, তোলাবাজি আর নয়। কাটমানি, সিন্ডিকেট, বেকারত্ব, হিংসা আর নয়। আর তুষ্টিকরণ নয়।
বামেদের বিরুদ্ধে পরিবর্তনের স্লোগান তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মা–মাটি–মানুষের জন্য কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি রেখেছেন কি উনি?তারপরই শুরু হয়েছে অত্যাচারের রাজনীতি।
স্বাধীনতা লড়াইয়ের নামে ক্ষমতায় এসেছিল কংগ্রেস। কিছু উন্নয়ন হয়েছিল সেই সময়ে। তখন বামপন্থীরা বলতেন, কংগ্রেসের কালো হাত ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও। এখন সেই কালো হাতের কী হল!স্মার্টসিটি তৈরি হবে, সেতু গড়া হবে, গরিবদের ঘর দেওয়া হবে।
রাজ্য সরকারের কমিশনবাজির জন্য উন্নয়ন আটকে রয়েছে।
বাংলায় পরিবর্তন আনতে হলে গ্রাম পঞ্চায়েত, নগর নিগমের উন্নতি চাই।
বাংলায় ডবল ইঞ্জিন সরকার আনতেই হবে।
কলকাতার সংস্কৃতি রক্ষা করতে হবে। কলকাতার কাছে সমৃদ্ধশালী অতীত এবং সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ রয়েছে।
উন্নয়নের জন্য বাংলায় সব আছে। মাছ হোক বা ভাত, বন্দর হোক বা বাণিজ্য, বাংলার মাটিতে সবকিছু রয়েছে। সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগোতে হবে। আমাদের এনডিএ সরকার সেই লক্ষ্য নিয়েই এগোবে।
আগামী ২৫ বছরের কথা মাথায় রেখে এবারের বিধানসভা নির্বাচন খুব জরুরি।
আজ থেকে বাংলা নতুন সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যাব।
বাংলার থেকে যা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে, সব ফেরত দেব।
অনেক বছর নষ্ট হয়ে গেছে। আর সময় নষ্ট নয়। বাংলার মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে।
শুধু ক্ষমতাবদল নয়, উন্নয়নের সরকার চাই। স্বাধীনতার এই ৭৫ বছরে বাংলার যা ক্ষতি হয়েছে, তা আমার থেকে আপনারা বেশি জানেন।
নতুন বাংলায় তুষ্টিকরণ হবে না। অনুপ্রবেশকারীদের রুখে দেওয়া হবে।
আসল পরিবর্তনের অর্থ যুবকদের চাকরি, শিল্প গজাবে, আধুনিক পরিকাঠানো তৈরি, গরিবদের উন্নতমানের জীবন, সব স্তরের মানুষের সব ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ।
এখানকার বোন–বেটিদের জন্য দিন–রাত এক করে কাজ করব
বাংলার পুনর্নিমানের বিশ্বাস দিতে এসেছি
এই ব্রিগেড ময়দান থেকে আসল পরিবর্তনে বিশ্বাস দিতে এসেছি।
আপনাদের শুনে কেউ কেউ ভাবছেন, আজই বোধহয় ২ মে
মিঠুন চক্রবর্তীও এসেছেন
আজ সবাই বাংলার উন্নতি চাইছেন
বাংলা চায় উন্নতি। বাংলায় শান্তি। বাংলা চায় প্রগতিশীল বাংলা। বাংলা চায় সোনার বাংলা
এরা বাংলার মানুষকে অপমান করেছে। পরিবর্তনের জন্য মমতা দিদির উপর ভরসা করেছিল বাংলার মানুষ। কিন্তু দিদি এবং তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা সেই বিশ্বাস ভেঙে দিয়েছেন। মা–বোনেদের উপর অকথ্য অত্যাচার হয়েছে।
এই ব্রিগেডের মাঠ অনেক দেশভক্তকে দেখেছে
এই কলকাতা, বাংলা ভারতের প্রেরণা।
বাংলার মহাপুরুষরা এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত ভাবনাকে মজবুত করেছিলেন।
ঐতিহাসিক ব্রিগেড মঞ্চে এসে আপনাদের আশীর্বাদ পেয়ে দারুণ লাগছে।
দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রাণভূমি বাংলা। ভারতের গৌরব বাড়িয়েছে বাংলা।
আপনাদের আবার প্রণাম জানাই। সব রাস্তা ভরাট হয়ে গেছে।
হেলিকপ্টার দেখছিলাম, ময়দানে কোনও জায়গা খালি নেই।
রাজনৈতিক জীবনে অনেক সভা করেছি, কিন্তু এতবড় সমাবেশে কখনও সভা করিনি। আজ দেখছি।
বোন–ভাইদের আমার প্রণাম। মোদির ব্রিগেডকে সফল করতে ১০ লাখের লক্ষ্যমাত্রাও ধরে দিয়েছেন অমিত শাহ, তেমনটাই জানাচ্ছেন গেরুয়া শিবিরের একাংশ। রবিবার সকাল থেকেই মুরলীধর সেন লেনে ভিড় জমিয়েছেন বিজেপির কর্মী–সমর্থকরা। ময়দানের ধারে উনুন জ্বালিয়ে চলছে রান্না। ভাত–বাঁধাকপির তরকারি, মাংসও। বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষকের কথায়, ‘প্রচুর মানুষ আসছেন। মহিলারাও আসছেন।’ তবে নবান্ন দখলের লড়াইয়ে ব্রিগেড যে মাপকাঠি নয়, তা আগেভাগেই জানিয়ে দিচ্ছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে সব কিছুর উর্ধে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে খুশি করাই যে লক্ষ্য, তা মেনে নিচ্ছেন শীর্ষ নেতারা।