গ্রামীণ এলাকায় উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে উপরাষ্ট্রপতি সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্বের আহ্বান জানিয়েছেন

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ    গ্রামীণ এলাকায় উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে উপরাষ্ট্রপতি শ্রী ভেঙ্কাইয়া নাইডু সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্বের আহ্বান জানিয়েছেন। আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার সুযোগ নিতে এই যৌথ অংশীদারিত্বের প্রয়োজন রয়েছে বলে উপরাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি সরকারের কাছে সুপারিশ করছেন বলে উপরাষ্ট্রপতি জানান।

গুজরাটের নবসারিতে নিরালা মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে উপরাষ্ট্রপতি বলেন, করোনা অতিমারি শিখিয়েছে সুস্বাস্থ্যের কতটা প্রয়োজন। সুস্বাস্থ্য ব্যবস্থা দেশের অর্থনৈতিক বিকাশের ক্ষেত্রেও সহায়ক বলে তিনি মন্তব্য করেন।

দক্ষ এবং সাশ্রয়ী মূল্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থাই একমাত্র দরিদ্র মানুষের আর্থিক বোঝা হ্রাস করতে পারে, উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পারে। সেই সঙ্গে বিদ্যালয় অনুপস্থিতির হার কমাতে পারে। উন্নত স্বাস্থ্যব্যবস্থা দেশের বিকাশের সাথে সম্পর্কিত। শুধু তাই নয়, সুস্বাস্থ্য ব্যক্তিবিশেষ, সম্প্রদায় এবং বৃহত্তর সমাজের ক্ষেত্রে সম্পদ স্বরূপ বলে উপরাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন।

আরও পড়ুন -  Rain forecast in South Bengal: ব্যাপক বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলায়, কবে হবে বৃষ্টি? জানুন

উপরাষ্ট্রপতি বলেন,স্বাধীনতার পরবর্তী কালে দেশে স্বাস্থ্যব্যবস্থার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তবে, চাহিদা পূরণ করতে গেলে সরকারের সাথে বেসরকারি সংস্থাগুলিকেও এগিয়ে আসতে হবে। সরকারের সাথে তাদের পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে।

মানসিক স্বাস্থ্যের কথা উল্লেখ করে শ্রী নাইডু বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৯ সালের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ভারতে ৭.৫ শতাংশ মানুষ মানসিক রোগের শিকার। এর সঙ্গে করোনার প্রভাব সাধারণ মানুষকে মানসিক ভাবে আরও বিপর্যস্ত করেছে। উপরাষ্ট্রপতি মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, অন্য সবকিছুর চেয়ে আমাদের অবশ্যই মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশের বিষয়ে কথা বলতে হবে।

আরও পড়ুন -  Cyclone Biparjoy: লণ্ডভণ্ড গুজরাট বিপর্যয়ের তাণ্ডবে, বিদ্যুৎহীন অনেক এলাকা

উপরাষ্ট্রপতি অসংক্রামক রোগ বৃদ্ধির প্রবনতার কথা উল্লেখ করে বলেন, দেশে ক্যান্সার, মধুমেহ এবং হৃদযন্ত্রের রোগে ৬০ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়। এই মৃত্যু ঠেকাতে জীবনযাত্রার পরিবর্তন এবং মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজন । এ ব্যাপারে তিনি বিশেষজ্ঞদের এগিয়ে আসার পরামর্শ দেন।

আরও পড়ুন -  Basketball: বাস্কেটবল জাতীয় খেলোয়াড়, কোন সরকারি কাজ মেলেনি, অভাবে দিন চলছে

উপ রাষ্ট্রপতি পরামর্শ দেন যে, স্বাস্থ্য পরিষেবা বলতে শারীরিক, মানসিক এবং আধ্যাত্মিক ভাবে ভালো থাকার চেষ্টাকে বোঝায়। এ বিষয়ে তিনি চিকিৎসক সমাজ এবং হাসপাতাল গুলিকে আরও যত্নবান ও মানবিক হওয়ার পরামর্শ দেন। উপরাষ্ট্রপতি বলেন, মানবতার মাধ্যমেই দুর্দশা কে প্রশমিত করতে হবে এবং সুখকে সম্প্রসারিত করতে হবে।

উপ রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে শেষ পর্যায়ে ঐতিহাসিক লবণ সত্যাগ্রহ আন্দোলন এবং বারদোলি সত্যাগ্রহ আন্দোলনের উল্লেখ করেন যা গুজরাটে ঘটেছিল। যা আমাদের আত্মশক্তি এবং আত্মনির্ভরতা বাড়িয়েছে। সূত্র – পিআইবি।