নিজস্ব প্রতিনিধি, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, কলকাতাঃ ‘লালঝান্ডা’র পাশে নজর কেড়েছে আব্বাস সিদ্দিকির আইএসএফ-এর পতাকা। পীরজাদার টানে ব্রিগেড ভরিয়েছেন তাঁর সমর্থকরাও। ব্রিগেডের এই চেহারা আগে কখনও দেখা যায়নি।
রাজ্যের সব রাজপথ এসে মিশেছিল ব্রিগেডে। লাল ঝান্ডাধারী সমর্থকদের পাশাপাশি হাজার হাজার আইএসএফ সমর্থকদেরও ভিড় রবিবাসরীয় ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে। ব্যক্তি বিশেষের পরিচয় এখানে গুরুত্বহীন। ‘ভাইজান, ভাইজান’ ধ্বনিতে আকাশ বাতাস কেঁপে যাওয়ার মতো অবস্থা। আর সেই গগনভেদী শব্দে ক্ষেপে গিয়ে বক্তৃতা থামিয়ে প্রায় মঞ্চ ছেড়েই দিচ্ছিলেন পোড় খাওয়া নেতা অধীর চৌধুরী। বাম-কংগ্রেস জোটের ব্রিগেড সমাবেশে এবার নতুন সঙ্গী ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (ISF)। ফলে তাঁদের সমর্থকও প্রচুর। বঙ্গের ভোটে সদ্যগঠিত দলের জনপ্রিয়তা যে কতটা, তা বোঝা গেল এই সমাবেশেই। মঞ্চে ভাষণ রাখতে গিয়ে আব্বাস সিদ্দিকি (Abbas Siddique) সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন। কার্যত হুঁশিয়ারির সুরেই তিনি বললেন, নারীদের স্বাধীনতা হরণ করে নিয়েছে মমতা। আমরা স্বাধীনতা ফেরানোর যুদ্ধে নেমেছি। রক্ত দিয়ে মাতৃভূমিকে রক্ষা করব। মমতাকে জিরো করে দেব।
বিপুল মানুষের সমাবেশ দেখে আত্মপ্রত্যয় যে বেড়েছে, তা মহম্মদ সেলিমের বক্তব্যেও স্পষ্ট। তিনি বললেন, ‘বসন্ত এসে গেছে, লালরঙা ফুল ফুটবে। কেউ আটকাতে পারবে না।’ একসঙ্গে এত লালঝান্ডা উড়তে সত্যিই দেখা যায়নি সাম্প্রতিক অতীতে। সেলিম বলেন, ‘লাল ঝান্ডাকে কেউ শেষ করতে পারেনি। বাংলার মমতা সরকারের বিরুদ্ধে যেমন তোলাবাজি, দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তেমনই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ‘দেশ বেচে দেওয়া’র অভিযোগ তুলতে দেখা গেছে বাম–নেতৃত্বকে।