কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব এবং টিকা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কোভিড টিকাকরণ নিয়ে বৈঠকে পৌরোহিত্য করলেন

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব শ্রী রাজেশ ভূষণ টিকা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত ক্ষমতাপ্রাপ্ত গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান ও কোভিড-১৯ টিকাকরণ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জাতীয় বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠীর সদস্য ডঃ আর এস শর্মাকে সঙ্গে নিয়ে আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য সচিব এবং এমডি-দের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করলেন।

২০২১এর ১৬ জানুয়ারি দেশজুড়ে কোভিড-১৯ টিকাকরণ অভিযান শুরু হয়। ২০২১এর পয়লা মার্চ থেকে নিম্নলিখিত বয়ঃগোষ্ঠীর মানুষকে এই টিকাকরণের আওতায় আনা হবে :

১) ৬০ বছরের ওপর বয়সী সব নাগরিক এবং

২) ৪৫-৫৯ বছরের মধ্যে যাদের অন্য কোন অসুখ আছে তারা

রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ব্যাখ্যা করে জানানো হয় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম কো-উইনের দ্বিতীয় সংস্করণের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি। এটি একটি জনসংখ্যা ভিত্তিক সফ্টওয়্যার। কয়েক হাজার এন্ট্রি প্রক্রিয়াকরণে সক্ষম। বয়স ভিত্তিক এই নতুন টিকাকরণের পর্ব দেশে কোভিড টিকাকরণকে বহুগুণ ছড়িয়ে দেবে। নাগরিক কেন্দ্রিক পদক্ষেপ নিয়ে এই পর্বে মৌলিক যে পরিবর্তন হচ্ছে সেটা হল নির্দিষ্ট বয়ঃগোষ্ঠীর নাগরিক এবং সেইসব স্বাস্থ্যকর্মী এবং অগ্রবর্তী কর্মী যারা বর্তমান টিকাকরণ অভিযানে বাদ পড়েছেন তারা নিজেদের পছন্দমতো টিকাকরণ কেন্দ্র বেছে নিতে পারবেন। দ্বিতীয়ত বেসরকারি হাসপাতালগুলিও যুক্ত হবে কোভিড টিকাকরণ কেন্দ্র হিসেবে যাতে তাদের ক্ষমতা ব্যবহার করা যায় টিকাকরণ প্রক্রিয়া বৃদ্ধিতে।

আরও পড়ুন -  Shilpa Shetty: সন্তানকে হারিয়ে শোকে বিহ্বল অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টি

বলা হয়েছে যে সকল কোভিড টিকাকরণ কেন্দ্রগুলিতে নিম্নলিখিত স্বাস্থ্য পরিষেবা থাকতেই হবে :

১) এসএইচসি, পিএইচসি, সিএইচসি-র মতো সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা, আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কেন্দ্র, মহকুমা হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

২) কেন্দ্রীয় সরকার স্বাস্থ্য কর্মসূচি সিজিএইচএস, আয়ুষ্মান ভারতের প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা এবং রাজ্যের একইরকম স্বাস্থ্য বিমা কর্মসূচির অধীনে তালিকাভুক্ত সব বেসরকারী হাসপাতাল।

রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে যে বেসরকারী স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রগুলিতে বাধ্যতামূলকভাবে যেন নিম্নলিখিত বিষয়গুলি থাকে কোভিড টিকাকরণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করতে :

১) তাদের যেন যথেষ্ট জায়গা থাকে মন্ত্রক নির্দেশিত সার্বিক এসওপি মোতাবেক।

২) টিকা মজুত করার জন্য যেন তাদের কোল্ড চেন উপকরণ থাকে।

৩) তাদের নিজস্ব টিকাদাতা ও কর্মী থাকতে হবে।

৪) যেকোন টিকাদান পরবর্তী ঘটনার ব্যবস্থাপনার জন্য যেন তাদের যথেষ্ট সুবিধা থাকে।

সকল সুবিধাপ্রাপক তারা যে কোন মাধ্যমেই যান না কেন তাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে নিম্নলিখিত যে কোন একটি ছবিসহ পরিচয়পত্র বহন করার জন্য :

আধার কার্ড
ইলেকটোরাল ফটো আইডেনটিটি কার্ড (এপিক)
অনলাইনে নথিভুক্তির সময় যে সচিত্র পরিচয়পত্রটি দেওয়া হয়েছে সেটি (যদি আধার বা এপিক না হয়)
৪৫-৫৯ বয়সী নাগরিকদের জন্য অন্য কোন অসুখের শংসাপত্র (নথিবদ্ধ চিকিৎসকের দ্বারা স্বাক্ষরিত)
কর্মক্ষেত্রের শংসাপত্র/সরকারি পরিচয়পত্র- (যে কোন কিন্তু ছবি ও জন্ম তারিখ সহ)এইচসিডাব্লু এবং এফএলডাব্লুদের জন্য
রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ব্যাখ্যা করে বলে হয়েছে নথিভুক্তিকরণের সরলীকৃত প্রক্রিয়া যা করা যাবে তিনটির মাধ্যমে :

আরও পড়ুন -  কোভিড কারফিউ/লকডাউনের সময় মজুতদারদের সঙ্গে কোন আপোষ নয়

১) অগ্রিম নিজের দ্বারা নথিভুক্তিকরণ :

কো-উইন দ্বিতীয় সংস্করণের পোর্টাল ডাউনলোড করে এবং আরোগ্য সেতু ইত্যাদির মতো অন্য আইটি অ্যাপগুলির মাধ্যমে সুবিধাপ্রাপকরা অগ্রিম নিজেদের নাম নথিভুক্তিকরণ করতে পারবেন। এতে দেখা যাবে সরকার এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলি যেখানে কোভিড টিকাকরণ কেন্দ্র হয়েছে সেখানকার তারিখ এবং সময়। সুবিধাপ্রাপক পছন্দমতো কেন্দ্রটি বেছে নিতে পারবেন এবং টিকাকরণের জন্য সময় নিতে পারবেন।

২) অনসাইট নথিভুক্তিকরণ :

অনসাইট নথিভুক্তিকরণে সুবিধা হবে তাদের যারা অগ্রিম নিজেদের নাম নথিভুক্তিকরণ করতে পারবেন না। তারা সরাসরি নির্দিষ্ট কোভিড টিকাকরণ কেন্দ্রে গিয়ে অনসাইট নথিভুক্তি করিয়ে টিকা নিতে পারবেন।

৩) নথিভুক্তিকরণের সুবিধা :

এই ব্যবস্থায় রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সরকার অতিসক্রিয় নেতৃত্ব দেবে। কোভিড টিকাকরণের নির্দিষ্ট তারিখ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যেখানে যাদের দেওয়া দরকার তাদের টিকা দেওয়া হবে। রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করবে যে যাদের টিকা দেওয়া দরকার তাদের সকলকে টিকাকেন্দ্রে নিয়ে আসা। আশা, এএনএম, পঞ্চায়েতী রাজ প্রতিনিধি এবং মহিলা পরিচালিত স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে কাজে লাগানো হবে সেইসব নাগরিককে টিকাকেন্দ্রে আনার জন্য।

আরও পড়ুন -  শপথ নিয়েই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তালিকা দিলেন

উপরে বর্ণিত তিনটি মাধ্যমেই সকল সুবিধাপ্রাপককে কো-উইন দ্বিতীয় সংস্করণের প্ল্যাটফর্মে আনা হবে। দেওয়া হবে ডিজিটাল কিউআর কোড ভিত্তিক আংশিক (প্রথম ডোজ নেওয়ার পর) এবং চূড়ান্ত (দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর) শংসাপত্র। টিকা নেওয়ার পর টিকা গ্রহণকারী যে এসএমএস পাবেন তাতে দেওয়া লিঙ্ক ডাউনলোড করা যাবে। টিকাকরণ কেন্দ্র থেকেও এইসব শংসাপত্রগুলির প্রিন্ট আউট নেওয়া যাবে।

সরকারি টিকাকরণ কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে বিনামূল্যে। সুবিধাপ্রাপকদের সচিত্র পরিচয়পত্র দেখাতে হবে বয়সের প্রমাণ হিসেবে (আধার কার্ড অথবা এপিক বাঞ্ছনীয়) এবং পূর্বেকার কোন অসুখের শংসাপত্র (যদি প্রয়োজন হয়)। কোভিড টিকা যারা নেবেন বেসরকারি ক্ষেত্রে তাদের আগে থেকে স্থির করা অর্থমূল্য দিতে হবে।

রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে টিকাকরণ বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিতে বলা হয়েছে। সাপ্তাহিক বা পাক্ষিক পরিকল্পনা মাফিক সরকারি এবং বেসরকারি টিকাকরণ কেন্দ্র বাড়াতে এবং টিকা দেওয়ার সংখ্যাও বাড়াতে বলা হয়েছে। সূত্র – পিআইবি।