খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ জিএসটি রূপায়ণ বাবদ রাজস্ব ঘাটতি মেটাতে পাঞ্জাব সরকার অপশন-১ বা প্রথম বিকল্প পন্থার সুবিধা গ্রহণ করবে বলে কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২৬টি রাজ্য জিএসটি রূপায়ণ বাবদ রাজস্ব ঘাটতি মেটাতে প্রথম বিকল্প পন্থা গ্রহণ করেছে। এছাড়াও দিল্লী, জম্মু ও কাশ্মীর এবং পন্ডিচেরী এই তিনটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রথম বিকল্প পন্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জিএসটি রূপায়ণ বাবদ রাজস্ব ঘাটতি মেটাতে যে ২৬টি রাজ্য ও তিনটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রথম বিকল্প পন্থার সুবিধা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাদের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ ঋণ সহায়তা ব্যবস্থার মাধ্যমে রাজস্ব ঘাটতি মেটানো হচ্ছে। বিশেষ এই ঋণ সহায়তা ব্যবস্থা গত ২৩শে অক্টোবর থেকেই চালু হয়েছে এবং ৪টি কিস্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ঋণ সহায়তা দিয়েছে। পাঞ্জাব সরকারও বিশেষ এই ঋণ সহায়তা ব্যবস্থার মাধ্যমে রাজস্ব ঘাটতি মেটাতে আর্থিক সুবিধা পাবে।
প্রথম বিকল্প পন্থার সুবিধা গ্রহণের নিয়ম-নীতি অনুযায়ী জিএসটি রূপায়ণ বাবদ রাজস্ব ঘাটতি মেটাতে বিশেষ ঋণ সহায়তা ব্যবস্থায় আর্থিক সুবিধা গ্রহণের পাশাপাশি রাজ্যগুলিকে তাদের গড় অভ্যন্তরীণ উপাদনের ০.৫০ শতাংশের ভিত্তিতে শর্তবিহীন ঋণ সহায়তা সংগ্রহে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। এই ঋণ সহায়তা আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের আওতায় গত ১৭ই মে ঘোষিত ২ শতাংশ ঋণ সুবিধা গ্রহণের অনুমতির অতিরিক্ত। বিশেষ ঋণ সহায়তা সুবিধা গ্রহণে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে যে ১ লক্ষ ১০ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের আওতায় ঘোষিত সুবিধা প্রদানে এটি অতিরিক্ত। পাঞ্জাব সরকারের কাছ থেকে প্রথম বিকল্প সুবিধা গ্রহণের বিষয়ে সরকারিভাবে সূচিত করার পর কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের গড় অভ্যন্তরীণ উপাদনের ০.৫ শতাংশ হার অনুযায়ী অতিরিক্ত ৩ হাজার ৩৩ কোটি টাকার ঋণ সংগ্রহের অনুমতি দিয়েছে।
এখনও পর্যন্ত ২৬টি রাজ্যকে অতিরিক্ত ঋণ সংগ্রহের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জিএসটি রূপায়ণ বাবদ রাজস্ব ক্ষতির ঘাটতি মেটাতে বিশেষ ঋণ সহায়তা সুবিধার মাধ্যমে ১৮টি রাজ্য ও ৩টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে তাদের গড় অভ্যন্তরীণ উপাদনের ০.৫ শতাংশের হিসেব অনুযায়ী গত ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত ২৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ জিএসটি রূপায়ণ বাবদ রাজস্ব ঘাটতি মেটাতে বিশেষ ঋণ সহায়তা সুবিধার পাশাপাশি রাজ্যের গড় অভ্যন্তরীণ উপাদনের ০.৫০ শতাংশের নিরিখে অতিরিক্ত ঋণ সহায়তা বাবদ ৬ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা পেয়েছে। সূত্র – পিআইবি।