সুমিত ঘোষ, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, মালদাঃ দেওরের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বৌদিকে পেটে লাথি। ঘটনায় মৃত্যু গৃহবধূ।বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদার ভুতনি থানার দমনটোলা গ্রামে। ঘটনায় পাঁচজনের নামে ভুতনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের মৃতের পরিবারের। ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছে মৃতের স্বামী সহ পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত গৃহবধূর নাম প্রিয়াঙ্কা মন্ডল(২১)। বাড়ি কাটিহারের আমেদাবাদ থানার বড় নিতাইটোলা গ্রামে। মৃতের মা দয়াবতী দেবী জানান, গত আড়াই বছর আগে সামাজিক নিয়ম মেনে মালদা ভুতনি থানার দমনটোলা গ্রামের বাসিন্দি ফটিক মন্ডলের সাথে তার মেয়ের বিয়ে হয়। সেখানে বিয়েতে প্রচুর পরিমাণে যৌতুক দেওয়া হয়। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই পারিবারিক অশান্তির জেরে মেয়েকে হামেশাই স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা মারধোর করতো। তিনি আরো জানান ফটিক মন্ডল স্থানীয় এক মহিলার সাথে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনা জানতে পেরে প্রিয়াঙ্কা প্রতিবাদ করলে তার ওপর চলে বেধড়ক মারধর। ঘটনা জানতে পেরে তারা মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে আসে। স্থানীয়দের তৎপরতায় সালিশি করে সমস্যার সমাধান করে। সম্প্রতি পরিবারের সদস্যরা দেওর সাহেব মন্ডল বৌদিকে বার বার কু প্রস্তাব দিতে থাকে। আর এই নিয়ে প্রতিবাদ করলে প্রিয়াঙ্কাকে বেধড়ক মারধর করা হতো। বুধবার রাত্রিবেলা ফের দেওয়র সাহেব মন্ডল বৌদিকে কুপ্রস্তাব দেয়। আর তাতে রাজি না হওয়ায় বৌদিকে মাটিতে ফেলে পেটে, মুখে লাথি মারতে থাকে। মেয়ের মায়ের আরও অভিযোগ তাকে বিষ খাইয়ে দেয়। ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তারা প্রায়াঙ্কাকে বাড়িতে ফেলে রেখে পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ঘটনার খবর পেয়ে তারা ছুটে এসে মেয়েকে উদ্ধার করে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে। মেয়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল বেলায় মেয়ের মৃত্যু হয়। ঘটনায় স্বামী ফটিক মন্ডল সহ ৫ জনের নামে ভুতনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ভুতনি থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি ও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।