খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ ভারতে ছয়দিন পর দৈনিক ভিত্তিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা আবার ৪০ হাজারের নিচে নেমেছে। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭,৯৭৫ জন। গত ৮ নভেম্বর থেকে পরপর ১৭ দিন দৈনিকভিত্তিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজারের নিচে রয়েছে।
ভারতের নমুনা পরীক্ষা পরিকাঠামোয় লক্ষ্যণীয় অগ্রগতি হয়েছে। দেশে নমুনা পরীক্ষাগারের সংখ্যা ২,১৩৪। প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যায় দৈনিক সর্বাধিক সংখ্যায় নমুনা পরীক্ষার প্রবণতা অব্যাহত রেখে দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ১০ লক্ষ ৯৯ হাজার ৫৪৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর ফলে ভারতের মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ১৩ কোটি ৩৬ লক্ষ ৮২ হাজার ২৭৫ হয়েছে।
দৈনিকভিত্তিতে ১০ লক্ষের বেশি নমুনা পরীক্ষা হওয়ার ফলে আক্রান্তের সংখ্যা ও হার ক্রমশ কমছে। বর্তমানে সামগ্রিকভাবে জাতীয় স্তরের আক্রান্তের হার আজ ৬.৮৭ শতাংশ। অন্যদিকে, দৈনিকভিত্তিতে আক্রান্তের হার কেবল ৩.৪৫ শতাংশ। অধিক সংখ্যায় নমুনা পরীক্ষার ফলে আক্রান্তের হার ক্রমশ কমছে।
দেশে প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যায় নমুনা পরীক্ষার হার জাতীয় স্তরে বেড়ে হয়েছে ৯৬,৮৭১। এমনকি দেশে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের হার ক্রমাগত কমছে। গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৪২,৩১৪ জন রোগী আরোগ্য লাভ করেছেন ও হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।
দেশে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমে হয়েছে ৪ লক্ষ ৩৮ হাজার ৬৬৭। বর্তমানে ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যায় কেবল ৪.৭৮ শতাংশই সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্ত।
জাতীয় স্তরে সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৯৩.৭৬ শতাংশ। সুস্থতার সংখ্যা আজ আরও বেড়ে হয়েছে মোট ৮৬ লক্ষ ৪ হাজার ৯৫৫। ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নতুন করে আরোগ্য লাভ করেছেন ৭৫.৭১ শতাংশ। দিল্লি থেকে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বাধিক ৭,২১৬ জন সুস্থ হয়েছেন। কেরল থেকে একদিনেই সুস্থ হয়েছেন ৫,৪২৫ জন এবং মহারাষ্ট্র থেকে সুস্থতার সংখ্যা ৩,৭২৯।
নতুন করে করোনায় আক্রান্তদের ৭৭.০৪ শতাংশই ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। গত ২৪ ঘন্টায় দিল্লিতে সর্বাধিক ৪,৪৫৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এরপর মহারাষ্ট্র থেকে আক্রান্তের সংখ্যা ৪,১৫৩।
দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনাজনিত কারণে ৪৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৭৩.৫৪ শতাংশই মারা গেছেন ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। দিল্লি থেকে গত ২৪ ঘন্টায় ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে একদিনেই মারা গেছেন ৪৭ জন এবং মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। সূত্র – পিআইবি।