প্রধানমন্ত্রী বেঙ্গালুরু টেক সামিট – এর উদ্বোধন করেছেন

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ তথ্য যুগে দ্রুতগতি নয়, শ্রেষ্ঠ জিনিস পাওয়াটাই বিবেচ্য : প্রধানমন্ত্রী

ভারতে প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন সমাধানের উদ্ভাবন এখন বিশ্বে ব্যবহারের সময় এসেছে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বেঙ্গালুরুতে প্রযুক্তি শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন। কর্ণাটক ইনোভেশন অ্যান্ড টেকনোলজি সোসাইটি (কেআইটিএস), কর্ণাটক সরকারের তথ্য প্রযুক্তি, জৈব প্রযুক্তি ও নতুন উদ্যোগের উপর পরিকল্পনাকারী গোষ্ঠী, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কস অফ ইন্ডিয়া ও এম এম আক্টিভ সায়েন্স-টেকনোলজি কমিউনিকেশন্সের সঙ্গে কর্ণাটক সরকার যৌথ উদ্যোগে এই শীর্ষ সম্মেলন করেছে। এই বছরের সম্মেলনের মূল ভাবনা “নেক্সট ইজ নিউ”౼ পরবর্তীই নতুন। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন ও তথ্য প্রযুক্তি, যোগাযোগ এবং আইন ও বিচার মন্ত্রী শ্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ এবং কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বি এস ইয়েদুরিয়াপ্পা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ডিজিটাল ইন্ডিয়া আজ শুধুমাত্র সরকারি উদ্যোগের ঘেরাটোপে না থেকে দরিদ্র, প্রান্তিক মানুষ এবং যাঁরা সরকারে রয়েছেন, তাঁদের জীবনের অঙ্গ হয়ে ওঠায় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

প্রযুক্তির এই শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ডিজিটাল ইন্ডিয়ার কারণে আমাদের দেশে মানব-কেন্দ্রিক উন্নয়ন হচ্ছে। তিনি বলেছেন, প্রযুক্তি বর্তমানে ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হওয়ায় নাগরিকদের জীবনে যথেষ্ট পরিবর্তন এসেছে এবং এর সুফল সকলেই দেখতে পাচ্ছেন। শ্রী মোদী বলেছেন, সরকার ডিজিটাল ও প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে একটি বাজারই শুধু তৈরি করেনি, সমস্ত প্রকল্পের জন্য প্রযুক্তিকে অন্যতম উপাদান হিসাবে ব্যবহার করছে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর সরকারের প্রযুক্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ফলে মানুষের জীবনে মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষকরা মাত্র একটি ক্লিকের মাধ্যমে সহায়তা পাচ্ছেন এবং বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্বাস্থ্য পরিষেবা আয়ুষ্মান ভারত সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। লকডাউনের সময় ভারতের দরিদ্র জনসাধারণ যথাযথ ও দ্রুত সহায়তা পেয়েছেন, এর মূলে রয়েছে প্রযুক্তি। এ ধরনের সহায়তা অতুলনীয়। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দক্ষতার সঙ্গে ভালো পরিষেবা নিশ্চিত করার জন্য সরকার তথ্য বিশ্লেষণের ক্ষমতাকে কাজে লাগাচ্ছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে আমাদের বিভিন্ন প্রকল্প ফাইলের ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে এসে দ্রুতগতিতে ব্যাপকভাবে মানুষের জীবনে পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। সকলের জন্য বিদ্যুৎ, টোল বুথগুলি দিয়ে দ্রুতগতিতে যান চলাচল প্রযুক্তির মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে এবং আমাদের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কাছে স্বল্প সময়ে টিকা পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে যে আস্থা তৈরি হয়েছে, তার মূলে রয়েছে প্রযুক্তি।

আরও পড়ুন -  অভিনেত্রী - সাংসদ মিমি চক্রবর্তী'র মন ভালো নেই, ভিডিও পোস্ট করে কি জানালেন ?

প্রধানমন্ত্রী মহামারীর এই সময়ে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে প্রাণবন্ত চরিত্রটির প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, মাত্র কয়েক মাসে প্রযুক্তিকে যেভাবে গ্রহণ করা হয়েছে, গত এক দশক ধরে তা হয়নি। এখন যে কোনও জায়গা থেকে কাজ করাটি নিয়মে পরিণত হয়েছে এবং এই ধারা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেছেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কেনাকাটা ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার বিপুলভাবে করা হবে।

আরও পড়ুন -  বারাণসী ভিত্তিক অসরকারী সংগঠনগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক

শিল্প যুগের সাফল্য এখন অতীত, আমরা এখন তথ্য যুগের মধ্য দিয়ে চলছি। শ্রী মোদী বলেছেন, শিল্প যুগে পরিবর্তন ছিল সময়োচিত। কিন্তু তথ্য যুগে তার পরিমাণ ব্যাপক। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শিল্প যুগে দ্রুতগতি বিবেচনা করা হলেও তথ্য যুগে শ্রেষ্ঠ পণ্যই বিবেচনা করা হয়। যে কেউ যখন খুশি এমন কিছু পণ্য উৎপাদন করতে পারেন, যা বাজারের সমীকরণকে বদলে দিতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারত তথ্য যুগে যথেষ্ট অগ্রসর হয়েছে। এদেশে সেরা প্রতিভার সঙ্গে বড় বাজারও আছে। স্থানীয় স্তরে আমাদের দেশের প্রযুক্তির মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে পদ্ধতিগুলি আন্তর্জাতিক স্তরে ব্যবহার করার ক্ষমতা অর্জন করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন শিল্পকে সরকার সবসময়েই মুক্ত রাখতে চায়। সম্প্রতি তথ্য প্রযুক্তি শিল্পকে বিভিন্ন বাধ্যবাধকতা থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। শ্রী মোদী বলেছেন, সরকার প্রযুক্তি ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত, সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আলোচনা করে ভারতের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নীতি তৈরি করে।

আরও পড়ুন -  Free Treatment by Modi Government: মোদী সরকারের প্রকল্পে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ৫ লক্ষ টাকার ফ্রি চিকিৎসা সুবিধা, দীপাবলিতে বিশেষ উপহার

প্রধানমন্ত্রী একটি কাঠামোর মধ্য থেকে একাধিক পণ্য তৈরির ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দিয়েছেন। ইউপিআই, ন্যাশনাল ডিজিটাল হেলথ মিশন, স্বামীত্ব প্রকল্প ইত্যাদির মতো নানা উদ্যোগের কথা তিনি তুলে ধরেছেন। প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রকেও বর্তমানে নিয়ন্ত্রণ করছে। ব্যাপকভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য সাইবার নিরাপত্তা ও তথ্য সুরক্ষার ওপর তিনি জোর দিয়েছেন। সাইবার জগতের ওপর আক্রমণ ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমাদের যুবসম্প্রদায় সফলভাবে সুরক্ষা সম্পর্কিত অবদান রাখতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জীব বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং – এর মতো বিজ্ঞানের ক্ষেত্রগুলিতেও উদ্ভাবনের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেছেন, উন্নয়নের মূল শক্তি-ই হ’ল উদ্ভাবন এবং ভারত এক্ষেত্রে যথেষ্ট সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে, কারণ আমাদের দেশের যুবসম্প্রদায়ের উদ্ভাবনের বিষয়ে প্রতিভা ও উৎসাহ রয়েছে।তিনি আরও বলেছেন, আমাদের যুবসম্প্রদায় ও প্রযুক্তির সম্ভাবনা সীমাহীন। এদের জন্য সেরা জিনিসটি দেওয়ার সময় এসেছে। তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্র আমাদের গর্বিত করবে বলে তিনি আস্থা প্রকাশ করেছেন। সূত্র – পিআইবি।