খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্ত, ভূ-বিজ্ঞান এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধন নতুন দিল্লিতে শনিবার ২০২০ সালের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন নীতি নিয়ে অত্যন্ত দক্ষ প্রবাসী ভারতীয় বিজ্ঞানীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেছেন। কেন্দ্রের মুখ্য বিজ্ঞান উপদেষ্টা অধ্যাপক কে. বিজয় রাঘবন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের সচিব অধ্যাপক আশুতোষ শর্মা, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে জৈব প্রযুক্তি নীতির পরামর্শদাতা ডঃ বিজয় চাউথাইওয়ালে, বিদেশ মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব শ্রীমতী রেণু পাল সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী ভারতীয় বিজ্ঞানীরা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
ডাঃ হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ মহামারীর প্রেক্ষিতে উদ্ভুত সঙ্কটে ভারত যুগান্তকারী নীতি প্রণয়নে উদ্যোগী হয়েছে। কোভিডের ফলে বিশ্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছে। প্রবাসী ভারতীয় বিজ্ঞানীদের কাছ থেকে নতুন বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন নীতির বিষয়ে তিনি পরামর্শ চেয়েছেন।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, সম্প্রতি বৈভব শীর্ষ সম্মেলনে ‘প্রবাস’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে, যার সাহায্যে সরকার সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করতে পারবে। ডাঃ হর্ষ বর্ধন বিদেশে বসবাসরত ভারতীয় বিজ্ঞানীদের বিপুল সম্ভাবনাকে এতদিন কাজে লাগানো হয়নি বলে উল্লেখ করেছেন। দেশের প্রযুক্তির উন্নয়ন ও উদ্ভাবনে প্রবাসী ভারতীয় বিজ্ঞানীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন বলে তিনি জানিয়েছেন। ভারতীয় তথ্য প্রযুক্তি ও জৈব প্রযুক্তি শিল্পে বিপুল দক্ষ প্রবাসী ভারতীয়রা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ভারত রত্ন অধ্যাপক সি.ভি. রামনের জন্মদিনে মন্ত্রী তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক স্তরে ভারত বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। বিদেশে বসবাসরত ভারতীয়দের সাহায্যে দেশের অর্থনৈতিক ও বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে গতি আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী বলেছেন, প্রবাসে বসবাসরত ভারতীয় বৈজ্ঞানিকেরা সব থেকে প্রাণবন্ত সম্প্রদায়। এদেশের উন্নয়নে তাঁদের ভূমিকা গ্রহণের যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। এর মাধ্যমে শুধু দেশের উন্নতিই হবে না, সারা বিশ্ব এর ফলে উপকৃত হবে। ২০২০ সালের বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন নীতিতে বিকেন্দ্রীকরণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এখানে তৃণমূল স্তর থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে উপরে উঠে আসা হবে।
পরস্পরের সঙ্গে সম্পৃক্ত চারটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে, ২১টি বিষয় ভিত্তিক গবেষক দল এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শক্রমে এই নীতি তৈরি করা হচ্ছে। সূত্র – পিআইবি।