খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ ২০২০-২১ চলতি খরিফ বিপণন মরশুমে সরকার ন্যূনতম সহায়ক মূল্য প্রদানের মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে ফসল কেনার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে।
২০২০-২১ খরিফ মরশুমে ধান কেনার প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে চলছে। ইতিমধ্যেই পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, উত্তরাখণ্ড, তামিলনাড়ু, চণ্ডীগড়, জম্মু-কাশ্মীর, গুজরাট, কেরালা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ৭ই নভেম্বর পর্যন্ত ২৪৮.৯৯ লক্ষ মেট্রিকটন ধান কেনা হয়েছে। গত বছর এই সময়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলি থেকে ২০৭.৬৩ লক্ষ মেট্রিকটন ধান কেনা হয়েছিল। গত বছরের তুলনায় এবছর ১৯.৯২ শতাংশ বেশি ধান কেনা হয়েছে। এর মধ্যে পাঞ্জাব থেকে ১৭৫.২৪ লক্ষ মেট্রিকটন ধান কেনা হয়েছে। চলতি খরিফ বিপণন মরশুমে ইতিমধ্যেই ২১.০৯ লক্ষ কৃষককে ৪৭০১০.১০ কোটি টাকা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য প্রদান করা হয়েছে।
তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, গুজরাট, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা, রাজস্থান এবং অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে মূল্য সহায়ক প্রকল্পের আওতায় চলতি খরিফ বিপণন মরশুমে ৪৫.১০ লক্ষ মেট্রিকটন ডাল ও তৈলবীজ কেনার বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু এবং কেরালা থেকে ১.২৩ লক্ষ মেট্রিকটন নারকেলের শুকনো শাঁস কেনার বিষয়েও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
৭ই নভেম্বর পর্যন্ত সরকার নির্ধারিত নোডাল এজেন্সির মাধ্যমে তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, হরিয়ানা এবং রাজস্থান থেকে ৩১৯৮৮.২৫ মেট্রিকটন মুগ, উরদ, চিনাবাদাম এবং সয়াবিন কেনা হয়েছে। এক্ষেত্রে ১৮,৯৪৯ জন কৃষক উপকৃত হয়েছেন। এতে ১৭১.৬০ কোটি টাকা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য প্রদান করা হয়েছে।
একইভাবে ৭ই নভেম্বর পর্যন্ত কর্ণাটক এবং তামিলনাড়ু রাজ্যের ৩,৯৬১ জন কৃষকের কাছ থেকে ৫২.৪০ কোটি টাকা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দিয়ে ৫,০৮৯ মেট্রিকটন নারকেলের শুকনো শাঁস কেনা হয়েছে। গত বছর এই সময় ২৯৩.৩৪ মেট্রিকটন নারকেলের শুকনো শাঁস কেনা হয়েছিল।
ন্যূনতম সহায়ক মূল্য প্রকল্পের আওতায় পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাট থেকে সুষ্ঠুভাবে তুলো কেনার প্রক্রিয়া চলছে। ৭ই নভেম্বর পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট রাজ্য থেকে ১ লক্ষ ৯৮ হাজার ৬০ জন কৃষকের কাছ থেকে ২৯৫২.৫১ কোটি টাকা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দিয়ে ১০২২০৭৪ কটন বেল কেনা হয়েছে। সূত্র – পিআইবি।