২১০ মেগাওয়াটসম্পন্ন লুহরি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ১৮১০ কোটি টাকার বিনিয়োগের অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটির বৈঠকে শতদ্রু নদীর ওপর ২১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন লুহরি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ১৮১০ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা বিনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। এই প্রকল্পটি প্রতি বছর ৭৫ কোটি ৮২ লক্ষ ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে।

এটি হিমাচল প্রদেশের সিমলা ও কুলু জেলার মধ্যে অবস্থিত।

সতলুজ জলবিদ্যুৎ নিগম লিমিটেড (এফজেভিএনএল, ) বিল্ড – ওউন – অপারেট – মেইনটেইন (বুম) পদ্ধতিতে এই প্রকল্পটিকে রূপায়িত করবে। এই প্রকল্পে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার সক্রিয়ভাবে সাহায্য করবে। ২০১৯ সালের ৭ই নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের সম্মেলন ‘রাইজিং হিমাচল’ – এর উদ্বোধন করেছিলেন। এই সম্মেলনে হিমাচল প্রদেশ সরকারের সঙ্গে এই প্রকল্পের সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়। কেন্দ্র পরিকাঠামো উন্নয়নে ৬৬ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা এই প্রকল্পে অনুমোদন দিয়েছে। এর ফলে, কম বিদ্যুতের মাশুল ধার্য করতে সুবিধা হবে।

আরও পড়ুন -  একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র সহ দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল মোথাবাড়ি থানার পুলিশ

লুহরি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু হবে ৬২ মাস পর। এই প্রকল্পের থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ গ্রিডের স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে সাহায্য করবে। গ্রিডে মূল্যবান পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি সরবরাহ করবে। এর ফলে, পরিবেশে বছরে ৬ লক্ষ ১০ হাজার টন কার্বন ডাই অক্সাইড কম যুক্ত হবে এবং বাতাসের গুণমান বৃদ্ধি পাবে।

আরও পড়ুন -  আম্রপালি ও নিরাহুয়া রোম্যান্স করলেন ঘর বন্ধ করে, কারও সামনে দেখবেন না– BHOJPURI VIRAL VIDEO

এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ২ হাজার জনের কর্মসংস্থান হবে। এর ফলে হিমাচল প্রদেশে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে। এছাড়াও, এই রাজ্য সংশ্লিষ্ট প্রকল্প থেকে ৪০ বছর বিনামূল্যে ১ হাজার ১৪০ কোটি টাকার বিদ্যুৎ পাবে। এই প্রকল্পের ফলে প্রভাবিত পরিবারগুলিকে ১০ বছর ধরে বিনামূল্যে ১০০ ইউনিট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।

আরও পড়ুন -  শিক্ষাব্যবস্থায় আসবে আমূল পরিবর্তন! প্রাইমারি পড়ুয়াদের উপর কি প্রভাব পড়বে?

এসজেভিএন পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, বিদ্যুৎ বন্টন এবং তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন করে থাকে। ২০২৩ সালের মধ্যে ৫ হাজার মেগাওয়াট, ২০৩০ সালের মধ্যে ১২ হাজার মেগাওয়াট ও ২০৪০ সালের মধ্যে ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা গড়ে তোলার জন্য এই সংস্থা পরিকল্পনা করেছে। সূত্র – পিআইবি।