ছোট বেলার পুজো
বহ্নি চক্রবর্তী
ছিল ঢাকে কাঠি পড়ার আগেই
নতুন জামার রিহার্সাল। নতুন জুতোর ফোস্কা পা।
প্যান্ডেলএর বাঁশে ঝুলে উল্টে পাল্টে ডিগবাজি।
চোর পুলিশ খেলতে গিয়ে ছেঁচড়ে পড়ে কাটা হাঁটু।
ফাংশানে নাচ, মায়ের শাড়ী, রংবেরঙের কাঁচের চুরি।
ঝালমুড়ি, ফুচকা, আলু কালবী, চটপটি।
সবারমাঝে অঞ্জলিতে চোখ পিট্ পিট্, বাঁদরামি।
দুপুর বেলায় খিচুড়ির লাইন, পাড়ার দাদার ইশারা।
ঠাকুর বরণ হয়ে গেলেই প্রসাদ খাবো হাতপাতা।
শেষ জামাটা পড়তে হবে, সাজটা হবে সবার সেরা।
ট্রাকে ঠাকুর স্বপরিবারে, ঢাকি কাকু লাইন দাও।
বিসর্জনে লুকিয়ে নাচা, বাড়ি এসেই কানমলা।
এখন দেখি ঢাক গুলো সব মাইক বাজে।
গাড়ির লাইন, ভি আই পি রা আলাদা।
শপিং মলে খাবার লাইন, হুক্কা বার আর ডিস্ক।
জোড়ায় জোড়ায় ঘুরছে সবাই, মা বাবা সব বাদ।
হারিয়ে যাওয়া ছোট বেলা আসবি ফিরে?
সব পাড়ার পুজোয় সব রয়েছে।
নেই শুধু ওই ধুলো বালি, কাটা হাঁটু আর মানুষ গুলো।