‘মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক’

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইনঃ করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মাস্ক পরা নিয়ে মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে নানা ধরণের প্রতিক্রিয়া। অথচ এই মাস্কই বহুলাংশে সুরক্ষিত রাখতে পারে বর্তমান সময়ের ভয়াবহ এই ভাইরাসটির হাত থেকে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) থেকে জানানো হয়, জন সমাগমযুক্ত স্থানে বাতাসে লম্বা সময় ধরে থাকতে পারে করোনাভাইরাস। এছাড়া বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক তথ্যানুসারে, এখন করোনাভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে এবং করোনায় আক্রান্ত ও লক্ষণবিহীন মানুষের মাধ্যমে ছড়াবে সবচাইতে বেশি।

প্রতিদিনের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যাই জানিয়ে দেয়, এই ভাইরাসকে হালকাভাবে নেওয়ার কোন উপায় নেই। লম্বা সময়ের জন্য মাস্ক পরে থাকা বিরক্তিকর হলেও, সামগ্রিকভাবে মাস্ক পরা ভীষণ জরুরি।

‘মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক’ স্থানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তর সংখ্যা কম

আরও পড়ুন -  Sandipta Sen: সুইমিংপুলে নিজেকে একটু ভিজিয়ে নিলেন সন্দীপ্তা, উষ্ণ ছবিতে মুগ্ধ নেটিজেনরা, ছবি ভাইরাল

সাম্প্রতিক সময়ের একটি গবেষণার পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়- যে সকল দেশে ঘরের বাইরে মাস্ক পরা পুরোপুরি বাধ্যতামূলক, সে সকল দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা, মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক নয় এমন সকল দেশের চাইতে কয়েক গুণ কম। আরও দেখা গেছে, মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক নয় এমন দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার প্রতি সপ্তাহে ৪৩ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক এমন সকল দেশে করোনায় মৃত্যুর হার সর্বোচ্চ বেড়েছে ২.৮ শতাংশ পর্যন্ত।

সংক্রমণ রোধ করবে মাস্ক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের মাঝে লক্ষণ সমূহ স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেতে মানুষ ভেদে ৫-১৪ দিন পর্যন্ত সময় প্রয়োজন হয়। যার মাঝে অন্তত ১৮ শতাংশ মানুষের মাঝে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোন লক্ষণ একেবারেই দেখা যায় না। বিবিসির তথ্যানুসারে, অর্ধেক সংখ্যাক মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন এমন সকল মানুষের কাছ থেকেই, যাদের মাঝে করোনায় আক্রান্তের কোন লক্ষণ দেখা যায় না। করোনায় আক্রান্ত হয়েও লক্ষণ প্রকাশ না পাওয়া ব্যক্তিদের বলা হচ্ছে অ্যাসিমটোম্যাটিক পিপল (Asymptomatic People). গবেষকেরা জানাচ্ছেন, এমন মানুষ আমাদের আশেপাশেই রয়েছে। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে মাস্ক ব্যবহারের বিকল্প নেই।

আরও পড়ুন -  Mahalaya: আজ মহালয়া, দেবীপক্ষের সূচনা

নিরাপদে থাকবে অসুস্থ ব্যক্তিরা হয়তো আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব দারুণ। যার ফলে করোনা আপনাকে কাবু করতে পারেনি। কিন্তু আপনার পরিবারের কোন সদস্যই হয়তো বেশ অসুস্থ। সেটা হতে পারে বয়স্ক কিংবা শিশু সদস্য। এছাড়া আপনি নিজেও অ্যাসিমটোম্যাটিক পিপল হয়ে করোয়ার ক্যারিয়ার হিসেবে কাজ করছে এবং না জেনে ও বুঝে পরিবারের মানুষের মাঝে করোনা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। যা পরবর্তীতে ডেকে আনতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। সাম্প্রতিক সময়ে হওয়া একটি কানাডিয়ান গবেষণার ফল জানাচ্ছে, করোনা পরবর্তী সময়ে চালু হওয়া অফিসের অন্তত ৫৪ শতাংশ মানুষের মাঝেই হাই ব্লাড প্রেশারের সমস্যা রয়েছে। যা তাদেরকে সহজেই ‘আন্ডারলাইন কন্ডিশন’ এর হাই রিস্কের মাঝে ফেলে দেয় এই করোনা পরিস্থিতিতে। না জেনে পরিবারের মানুষসহ অন্যদের ঝুঁকিতে ফেলতে না চাইলে মাস্ক পরতেই হবে। তথ্য – সংগৃহীত।

আরও পড়ুন -  Surveying Dengue: বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গু নিয়ে ফের সার্ভের কাজ শুরু করবে স্বাস্থ্যকর্মীরা